বাবরের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন আফ্রিদিরা!
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আফগানিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করবে পাকিস্তান
১০ ঘন্টা আগে
রমিজ রাজার বিদায়ের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের দায়িত্ব নেন নাজাম শেঠি। পুরাতন নির্বাচক কমিটি ভেঙে দিয়ে অন্তর্বতীকালীন কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। সেই কমিটির প্রধান করা হয়েছিল শহীদ আফ্রিদিকে।
যদিও কদিন পরেই তাকে সরিয়ে নিয়ে পূর্ণকালীন নির্বাচক কমিটি ঘোষণা করে পিসিবি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদির নির্বাচক প্যানেলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শেঠি। তিনি জানিয়েছিলেন দায়িত্ব নেয়ার আগেই নাকি তারা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে সরিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন পিসিবি প্রধান। শেঠি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটি অন্তর্বর্তী নির্বাচক কমিটি করেছিলাম। নির্বাচকরা বোর্ডে আসার আগে, তারা আমাদের বলেছিল যে কিছু পরিবর্তন করা দরকার এবং বাবরকেও অধিনায়ক হিসাবে প্রতিস্থাপন করা দরকার।’
বিগ ব্যাশ মাতাবেন আফ্রিদি-রিজওয়ানসহ পাকিস্তানের ৬ ক্রিকেটার
১৯ জুন ২৫
অবশ্য দায়িত্ব নেয়ার পরই সুর পাল্টেছিলেন আফ্রিদিরা। তখন তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছিলেন শেঠি। তিনি বলেন, 'নিয়োগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বলেছিল বাবরের বদলির কোনও প্রয়োজন নেই। আমি তাদের বলেছিলাম যে, আপনারা আপনাদের মন পরিবর্তনের অধিকারী।’
বাবরের অধীনে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সের কোনো সমালোচনা নেই। তার অধীনে গত বছর এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে দলটি। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও রানার্স আপ হয়েছে। শিরোপার স্বাদ না পেলেও পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব পড়েনি।
এমনকি বাবর নিজেও দারুণ ফর্মে রয়েছেন। গত বছর ওয়ানডের বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছিলেন তিনি। এমন পারফম্যান্সের পরও বাবরকে সরিয়ে দেয়ার কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছিলেন না শেঠি। তাই নির্বাচকদেরও তার ওপর আস্থা রাখতে বলেছিলেন তিনি।
সেই সময়ের কথা জানিয়ে শেঠি বলেন, ‘যতদিন বাবর একজন সফল ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক হিসেবে সফল হতে থাকবেন, ততদিনই তিনি অধিনায়ক থাকবেন। আপনি যদি সিরিজ হারতে থাকেন তবে লোকেরা আপনার অধিনায়কত্ব এবং অন্যান্য গুণাবলী নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে।’