ইতিহাস গড়ার আগে কিছুই ভাবেননি রিঙ্কু

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে নাও থাকতে পারে আইপিএল-পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি
৫ ঘন্টা আগে
টানা পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে দল জিতিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সমস্ত আলোই যেন নিজের দিকে নিয়ে গেলেন রিঙ্কু সিং। ম্যাচ শেষেও জানিয়েছেন, এমন ইতিহাস গড়ার আগে কোনও ভাবান্তরই ছিল না তার মনে!
শেষ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। গুজরাট টাইটান্সের পেসার ইয়াশ দায়ালের প্রথম বলে উমেশ যাদব সিঙ্গেল নেন। পরের তিন বলে তিনটি ফুল টস দেন দায়াল, তিনটিই ছক্কা। পরের দুটি অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব লেংথ দেন দায়াল। এই দুটি বলেও ছক্কা হাঁকান রিঙ্কু।

বিস্ময় জাগানিয়া এই ইনিংস খেলার পথে কলকাতার এই ব্যাটার ২১ বলে ৪৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে কলকাতা ম্যাচ জিতে যায় তিন উইকেট হাতে রেখে।
ম্যাচ শেষে রিঙ্কু বলেন, 'বিশ্বাস ছিল যে আমি এমনটা পারব। গত বছর লক্ষ্ণৌতে আমি একই অবস্থায় থেকে একটি ম্যাচ খেলেছি। তখনও নিজের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। উইকেটে গিয়ে তেমন কিছু চিন্তা করিনি। শটগুলো শুধু একটার পর একটা খেলেছি। শেষের শটটি পেছনের হাত দিয়ে খেলেছি, পেছনের পায়ে ভর করে।'
ম্যাচটিতে ২৪ বলে ৬৩ রান করেন গুজরাটের অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। ৪০ বলে ৮৩ রান করেন কলকাতার ভেঙ্কাটেশ আইয়ার। আর গুজরাটের হয়ে ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে নেমে প্রথম ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নিজের শেষ ওভারে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করেন রশিদ খান।
তবুও সবকিছু ছাপিয়ে এই ম্যাচের নায়ক রিঙ্কু। ইতোপূর্বে আইপিএলে শেষ ওভারে এতো রান নিয়ে জেতেনি আর কোনো দল। এর আগে শেষ ওভারে সর্বোচ্চ ২৩ রান নিয়ে জয়ের রেকর্ড ছিল রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসের। সেটাও ২০১৬ সালে।