বোলারদের দাপটের পর মেহেদি মারুফের ব্যাটে গাজী গ্রুপের জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিদ্ধান্ত বদলাতে শরফুদ্দৌলাকে অনুরোধ করবে বিসিবি
২৩ ঘন্টা আগে
টিপু সুলতান, সুমন খানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে মাত্র ১৬৯ রানে আটকে দেয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় গাজী গ্রুপকে বিপাকে পড়তে দেননি মেহেদি মারুফ ও ফরহাদ হোসেন। তাদের দুজনের ব্যাটে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছৈ যায় তারা।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ১৭০ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি গাজী গ্রুপ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারায় তারা। আজিম নাজির কাজির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান। এক চারে তরুণ এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৫ রান।

এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মেহেদি মারুফ ও ফরহাদ। তারা দুজনে খানিকটা দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন। এদিন দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মেহেদি মারুফ। মোহাম্মদ শরিফুল্লাহর বলে কাউ কর্নার দিয়ে ছক্কা মেরে ৭৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ডানহাতি এই ওপেনার।
মারুফ পঞ্চাশ পেরোলেও হাফ সেঞ্চুরি করা হয়নি ফরহাদের। আজিম নাজির কাজির বলে বোল্ড হয়ে হাফ সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেন এই ব্যাটার। ৪৮ রান করা ফরহাদের বিদায়ে ভাঙে মারুফের সঙ্গে তার ১০৮ রানের জুটি। ফরহাদের বিদায়ের পর আউট হয়েছেন মারুফও।
আজমির আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে থাকা সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন ৯৭ বলে ৬৭ রান করা এই ব্যাটার। এরপর রবি তেজা ও আকবর আলী মিলে গাজী গ্রুপের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন। রবি ৩১ আর অধিনায়ক আকবর অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৬৯ রানে অল আউট হয় অগ্রণী ব্যাংক। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন আজমির। এ ছাড়া আবু হায়দার রনি ৩২, শরিফুল্লাহ ২৫ এবং জাহিদ জাভেদ করেছেন ১৮ রান। গাজী গ্রুপের হয়ে টিপু সুলতান তিনটি আর সুমন নিয়েছেন দুটি উইকেট।