promotional_ad

সাকিবময় ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারাল বাংলাদেশ

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

টপ এন্ড টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ম্যাচের সূচি প্রকাশ

২ ঘন্টা আগে
ফাইল ছবি

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে পুরো দিনটা নিজের করে রাখলেন সাকিব আল হাসান। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। বল হাতেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিবই। ফিল সল্টকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার পর ইংলিশদের একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০ উইকেট নেয়ার দিনে সাকিবের শিকার ৪ উইকেট। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন ইবাদত হোসেন আর তাইজুল ইসলাম। সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ।


চট্টগ্রামে ইনিংসের প্রথম বলেই জেসন রয়ের বিপক্ষে লেগ বিফোর উইকেটের জোরালো আবেদন করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বোলার ও কিপারের আত্মবিশ্বাস রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসেনি। মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় বেশ সাবলীল শুরু করে ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার রয় ও ফিল সল্ট ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। তাদের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের নবম ওভারে সাকিবের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে কভার দিয়ে কাট চেয়েছিলেন সল্ট।


খানিকটা এজ হওয়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন ৩৫ রান করা এই ব্যাটার। পরের ওভারে বোলিং এসে তিনে নামা দাভিদ মালানকে আউট করেন ইবাদত হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের বলে মিড অন দিয়ে খেলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেন রানের খাতা খুলতে না পারা মালান। নিজের পরের ওভারে রয়কে বোল্ড করেন সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে জায়গা করে নিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন রয়।


আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ডানহাতি এই ব্যাটার এদিন আউট হয়েছেন ১৯ রানে। উইকেট ঠেকাতে স্যাম কারানকে পাঁচে পাঠায় ইংল্যান্ড। জেমস ভিন্সের সঙ্গে দারুণ জুটিও গড়ে তোলেন কারান। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের বলে লং অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কারান। তবে ঠিকঠাক টাইমিং করতে না পারায় লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ২৩ রান করে। 


বাটলারের সঙ্গে ভিন্সকে জুটি বড় করতে দেননি সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের মিডল স্টাম্পে পড়ে অনেকটা টার্ন করা এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ভিন্স। দুইবারেরে চেষ্টায় সেটা লুফে নেন মুশফিক। থিতু হওয়া ভিন্স ফেরেন ৩৮ রানের ইনিংস খেলে। মঈন আলীকে টিকতে দেননি ইবাদত। দারুণ এক ডেলিভারিতে মঈনকে বোল্ড করেন ডানহাতি এই পেসার।


promotional_ad

মঈনের বিদায়ের পর স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ছিলেন শুধুমাত্র বাটলার। ক্রিস ওকসকে সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। তবে তাইজুল ইসলামের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। বল সরাসরি প্যাডে আঘাত করলে জোরালো আবেদন করতেই আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি ২৬ রান করা বাটলারের।


আরো পড়ুন

চোট কাটিয়ে ফিরলেন অ্যাটকিনসন

৭ জুলাই ২৫
ফাইল ছবি

তাইজুলকে আক্রমণ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন আদিল রশিদ। বাঁহাতি এই স্পিনারের উইকেটের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ডানহাতি এই ব্যাটার। রেহানকে আউট করে ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ৬ হাজার রান এবং ৩০০ উইকেট নিলেন তিনি। এর আগে এমন কীর্তি রয়েছে শহিদ আফ্রিদি এবং সানাথ জয়াসুরিয়া।


ওকসকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ইবাদত। তবে ডানহাতি এই পেসারের বলে লং অফে তুলে দেয়া ক্যাচ নিতে পারেননি তামিম। আউট হতে পারতেন জোফরা আর্চারও। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। অফ ফর্মে থাকা মুস্তাফিজুর রহমান এসে ম্যাচ শেষ করেন। ওকসের দেয়া ফিরতি ক্যাচ নেন মুস্তাফিজ। তাতে ৫০ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।


এর আগে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম। আগের ম্যাচের মতো এদিনও শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। কারানের ইনিংসের পঞ্চম বলে উইকেটে হারায় স্বাগতিকরা। বাঁহাতি এই পেসারের বেরিয়ে যাওয়া বলে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হওয়ায় এই ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেনি তৃতীয় ম্যাচেও।


ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টানা দুইবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন লিটন। আরেক ওপেনার তামিমও সুবিধা করতে পারেননি। কারানের লেগ স্টাম্পের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে তা ব্যাটে লেগে বল চলে যায় পয়েন্টে। ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি ভিন্স। তামিম আউট হয়েছেন ৬ বলে ১১ রান করে। এরপর অবশ্য জুটি গড়ে তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।


দ্রুত ২ উইকেট হারালেও দারুণ এক জুটিতে ২২ ওভারে দলের রান একশ পূর্ণ করেন তারা দুজন। প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন শান্ত। তবে দলের বিপর্যয়ে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শান্ত ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৬৯ বলে। হাফ সেঞ্চুরির পরই অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৫৩ রানে ফেরেন শান্ত।


বাঁহাতি এই ব্যাটার আউট হওয়ার পর এই সিরিজে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান মুশফিক। এদিকে সাকিবের সঙ্গে জমে ওঠা মুশফিকের জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। ইংলিশ এই লেগ স্পিনারের গুগলিতে বোল্ড হন ৭০ রান করা এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ছক্কা মেরে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। রশিদের স্পিনে ডিফেন্স করতে গিয়ে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হন ৮ রানে।


মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। এই সিরিজে এটি তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। সাকিবকে সঙ্গ দিতে না পেরে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে ফেরেন আফিফ হোসেন। টিকতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজও। রেহান আহমেদের বলে তারই হাতে ক্যাচ দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সাকিব ৭৫ রান করে ফিরলে বাংলাদেশ থামে ২৪৬ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে জোফরা আর্চার তিনটি উইকেট নিয়েছেন।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


বাংলাদেশ- ২৪৬/১০ (৪৮.৫ ওভার) (সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭০, শান্ত ৫৩; আর্চার ৩/৩৫, রশিদ ২/২১)


ইংল্যান্ড- ১৯৬/১০ (৪৩.১ ওভার) (সল্ট ৩৫, রয় ১৯, ভিন্স ৩৮, বাটলার ; সাকিব ৩/৩৫, ইবাদত ২/৩৮)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball