প্রোটিয়াদের স্বপ্নভঙ্গ করে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ শিরোপা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ডে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে
৫ ঘন্টা আগে
জিততে শেষ ওভারে সাউথ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ওভারের তিন বল থেকে এক এক করে তিন রান নিলেন নতুন দুই ব্যাটার অ্যাশ গার্ডনার ও সিনালো জ্যাফটা। এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। পরের তিন বলে ৪ রান নিলে অস্ট্রেলিয়ার নামের পাশে লেখা হয়ে যায় ষষ্ঠ শিরোপা।
১৯ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ হয় সাউথ আফ্রিকার। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এর ফলে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৮ আসরের মধ্যে ছয়টিই জিতে নতুন ইতিহাস গড়ে অজিরা। ২০১০, ২০১২, ২০১৪ সালে টানা তিনবারের পর ২০১৮, ২০২০ ও ২০২৩ সালে জিতল দলটি।
ফাইনালে জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ডই গড়তে হতো সাউথ আফ্রিকাকে। কারণ এর আগে কোনো দলই ১৪৯ রানের বেশি তাড়া করে বিশ্বকাপ ফাইনালে যেতেনি। সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল টাজমিন ব্রিটসের। তিনি ডার্সি ব্রাউনকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন পঞ্চম ওভারের শেষ বলে।

আর তাতেই লরা ভলভার্টের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি ভাঙে ১৭ রানে। সঙ্গী হারালেও ভলভার্ট একাই টেনেছেন প্রোটিয়াদের ইনিংস। অন্যপ্রান্তে যখন ছিল ব্যাটারদের আসা যাওয়া, একপ্রান্ত আগলে রেখে ডানহাতি এই ব্যাটার খেলেন ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস।
টপ এন্ড টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ম্যাচের সূচি প্রকাশ
৯ ঘন্টা আগে
ভলভার্ট যখন আউট হয়েছেন প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান। এর আগে এর আগে মারিজান কাপ ১১ বলে ১১ ও সুনে লুস ৫ বল খেলে করেন ২ রান। মূলত এরপরই চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। চতুর্থ উইকেটে ক্লোয়ি ট্রাইওনের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৫০ রান।
সাউথ আফ্রিকার এই ঘুরে দাঁড়ানো কাজে লাগাতে পারেননি পরের ব্যাটাররা। ট্রাইওন ২৩ বলে ২৫ রান করে ফেরেন। শেষদিকে রান আউট হয়েছেন আন্নেকে বশ। নাদিন ডি ক্লার্ক ১০ বলে ৮ ও জ্যাফটা ৬ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকলেও লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি প্রোটিয়াদের।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায়নি অস্ট্রেলিয়া। তারা পাওয়ার প্লেতে তুলতে পারে মাত্র ৩৬ রান। এর মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান অ্যালিসা হিলির উইকেট। এরপর অ্যাশলে গার্ডনারকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার বেথ মুনি।
গার্ডনার করেন ২১ বলে ২৯ রান। তিনি ফিরে গেলেও মুনি একা টেনেছেন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৪৪ বলে। পরের ৯ বলে তার নামের পাশে যোগ হয় ২১ রান। শেষ ৫ ওভারে রান তোলার চাপে অস্ট্রেলিয়া হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। এর মধ্যে শেষ ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার শবনম ইসমাইল।