বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হেরে যাবেন ভেবেছিলেন গাঙ্গুলি

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হৃদয়কে চাপে ফেলতে চাননি মিরাজ
৬ ঘন্টা আগে
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর তারিখটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। সেদিন প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ম্যাচটি সৌরভ গাঙ্গুলির জন্যও ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচ দিয়েই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি।
এরপর ক্রিকেটার হিসেবে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে এসেছেন গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার আবারও বাংলাদেশে পা রেখে ২২ বছর আগের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক। তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে তার নামও সব সময় জড়িয়ে থাকবে।
ঢাকা মেয়র কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সব সময় জড়িয়ে থাকবে। আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশে। ওটা ছিল বাংলাদেশেরও প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এখনো মনে আছে, তখন নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম হয়নি। পুরোনো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। প্রথম ইনিংস শেষে ড্রেসিংরুমে ঢুকে আমার মনে হয়েছিল, আমার অধিনায়কত্বে প্রথম টেস্ট হেরে যাব! পরে আমরা ফিরে এসে প্রথম টেস্টটা জিতেছি।’

বাংলাদেশের মাটিতে আরও অনেক স্মৃতি আছে ভারতের। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালের গোল্ডেন জুবলি ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের স্মৃতিচারণ করেছেন। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৩১৪ রান করেছিল পাকিস্তান। এক বল হাতে রেখে সেই ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছিল ভারত।
ভারতের কোচ হতে তৈরি সৌরভ
২২ জুন ২৫
সেই ম্যাচ জয়ের কথা স্মরণ করে গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, ইনডিপেনডেন্স কাপের ফাইনালে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান তাড়া করা কঠিন ছিল। মনে আছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফ্লাইলাইটে তখন এত আলো ছিল না। ফুটবলের আলোয় খেলা হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা আমরাই জিতি।’
বাংলাদেশে যতবারই এসেছেন ততবারই এই দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটার। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দীর্ঘ ৮-৯ বছর পর বাংলাদেশে পা রেখে গাঙ্গুলি শুনিয়েছেন প্রথম বাংলাদেশে আসার স্মৃতিও।
সাবেক বিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘যদ্দুর মনে পড়ে, বালাদেশে প্রথম আসি ১৯৮৯ সালে, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে এশিয়া কাপ খেলতে। সেই থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। সর্বশেষ আসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, যেখানে ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে ভারত হেরেছিল। যতবার বাংলাদেশে আসি, অসাধারণ লাগে। ভালোবাসা পাই, ভালোবাসা মানে অকৃত্রিম ভালোবাসা। বেশি ভালো লাগে কী জানেন, বাংলাদেশে যখনই খেলা হয় স্টেডিয়াম থাকে পূর্ণ। এতেই বোঝা যায়, খেলাটার প্রতি মানুষের ভালোবাসা কতটা।’
গাঙ্গুলির বাংলাদেশে আসার কথা ছিল একদিন আগেই। কিন্তু ফ্লাইট জটিলতার কারণে বৃহস্পতিবার আসতে হয়েছে তাকে। এদিন দুপুর থেকেই গাঙ্গুলির সঙ্গে ছবি তুলতে ভিড় জমিয়েছিলেন তার ভক্ত সমর্থকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এক ঝাঁক সংবাদকর্মীও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।