শিথিল করা হলো গুনাথিলাকার জামিনের শর্ত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেফতার হয়েছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটার দানুশকা গুনাথিলাকা। যদিও কিছুদিন বাদেই জামিন দেয়া হয়েছিল তাকে। সেই সঙ্গে গুনাথিলাকাকে দেড় লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা ও কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
এর মধ্যে ছিল, নির্দিষ্ট ঠিকানায় থেকে প্রতিদিন পুলিশকে রিপোর???ট করতে হবে এই লঙ্কান ব্যাটারকে। এ ছাড়া টিন্ডার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালনা থেকেও বিরত থাকার শর্ত দেয়া হয়েছিল তাকে। বৃহস্পতিবার তার জামিনের বেশ কিছু শর্ত শিথিল করেছেন সিডনীর ম্যাজিস্ট্রেট।
বৃহস্পতিবার সিডনির ডাউনিং সেন্টার আদালতে হাজির হয়েছিলেন গুনাথিলাকা। তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার এমা সুলিভান আদালতের কাছে জামিনের দুটি শর্ত পাল্টানোর আবেদন করেন। এর মধ্যে একটি ছিল হোয়াটসএস ব্যবহারের অনুমতি ও দ্বিতীয়টি রাতের বেলাতেও বাইরে বের হওয়ার সুযোগ।

যদিও প্রতিপক্ষ আইনজীবী জর্জ রিক্সন এই আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অপরাধের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা উচিত। রাতে অপরাধ সংঘটনের সুযোগ আরও বেশি বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। অবশ্য বিচারক তার এই মন্তব্য আমলে নেননি।
ফলে এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এমনকি রাতে বাইরেও বের হতে পারবেন তিনি। গত ১৬ নভেম্বর জামিন পাওয়ার পর থেকেই সিডনীতে বসবাস শুরু করেন গুনাথিলাকা।
তার বিরুদ্ধে এক নারীকে যৌন হয়রানির চারটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। জামিনের শর্ত শিথিল করলেও গুনাথিলাকাকে 'ডেটিংয়ের সুবিধা ও পরিচালনার' জন্য হোয়াটসএপ ব্যবহারের জন্য বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট জেনিফার অ্যাটকিনসন।
গুনাথিলাকার জামিনের শর্ত শিথিল করে ম্যাজিস্ট্রেট অ্যাটকিনসন বলেছেন, 'কারফিউ জারি রাখার ব্যাপারে একমত নই। ভিন্ন এমন কিছু নেই যেটা রাতে হতে পারে কিন্তু দিনে হতে পারে না।'
এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন গুনাথিলাকা। যদিও ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকেই মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল তাকে। চোট গুরুতর না হওয়ায় তাকে দলের সঙ্গেই রেখে দেয়া হয়েছিল।
যদিও ধর্ষণের অভিযোগে গত ৫ নভেম্বর সিডনিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও বিভিন্ন নেতিবাচক কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন গুনাথিলাকা। অন্তত তিনবার গুনাথিলাকাকে বিভিন্ন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে নিষিদ্ধ করেছিল লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। এর মধ্যে কমপক্ষে দুইবার তার শাস্তি কমিয়ে দ্রুত মাঠে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছিল।