ক্যারিবিয়ান হলে আরও ভালো অবস্থানে থাকতাম: তাসকিন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে সাইফউদ্দিন
৪ জুলাই ২৫
গত জুনে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, 'তাসকিনকে অনেকেই অনুসরণ করে। আমাদের পেস বোলারদের ভালো করার পেছনে এটা একটা বড় কারণ।' অথচ বছর দুয়েক আগেও ফিটনেস আর বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। কিন্তু বাজে সময় পার করে দুর্দান্ত ভাবে ফিরেছেন এই পেসার। হয়ে ওঠেছেন দলের বাকিদের রোল মডেল। তাসকিনের মতে, বংশগত কারণেও দেশের পেসারদের চোটে পড়ার শঙ্কা বেশি থাকে। ক্যারিবিয়ান কিংবা প্রোটিয়া হলে তার নিজেরও চোটে পড়ার মাত্রা হ্রাস পেতো।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের পেসাররা যে উন্নতি করেছে তা তাদের পারফরম্যান্সেই স্পষ্ট। বিশেষ করে লাল বলের ক্রিকেটে। যেখানে বোলারদের কাজটা খুবই কঠিন। কারণ এখানে লম্বা সময় ধরে ফিটনেস ধরে রেখে বোলিং করতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে তাসকিন সেটা করে দেখিয়েছেন।
এই টাইগার পেসারের ক্যারিয়ারটা চাইলেই দুইভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমভাগটা অভিষেকের পর থেকে ২০১৭ সাল। আর পরেরটা ২০২১ সাল থেকে বর্তমানের তাসকিন। মাঝের বছর তিনেক কঠিন সময় পার করেছেন এই পেসার।

অভিষেকেই গতির ঝড় তোলা তাসকিন সময়ের সঙ্গে চোট আর ফিটনেসের কারণে ধার হারাতে বসেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের শেষের দিকে ছিটকে যান জাতীয় দল থেকে। দল থেকে বাদ পড়ার পরও দমে যাননি, বরং নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়েছেন। ফিটনেসে উন্নতির পাশাপাশি বোলিংয়ে গতি বাড়িয়েছেন। আর তাতে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ২০২১ সালের জানুয়ারীতে আবারও ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে নিজেকে নতুন রূপে চিনিয়েছেন ঢাকা এক্সপ্রেস। এরপর টেস্টে আর টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক হয়েছেন তিনি।
আইপিএল-পিএসএলের সময় হতে পারে বিপিএল, বাড়তে পারে ভেন্যু
১০ জুলাই ২৫
তাসকিন বলেন, 'যেহেতু আমি ন্যাচারালি বিল্ড না, এটার (চোটের) মনে হয় না কোনো শেষ আছে। আমি সাউথ আফ্রিকান বা ক্যারিবিয়ানদের মতো ন্যাচারালি বিল্ড হলে হয়তো আরেকটু বেটার অবস্থানে থাকতাম।'
এদিকে এবারের বিপিএলে ঢাকা ডমিনেটরসের হয়ে খেলবেন তাসকিন। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পেস ইউনিটের নেতৃত্বে থাকবে তার কাঁধেই। তার মতে, দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া কিছুটা হলেও চাপের, তবে সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত আছেন তিনি।
তাসকিন বলেন, 'আসলে যখন খেলতে নামি তখন তো একটা চাপ কাজ করেই। কারণ শেষ ২ বছর আমি ভালো গ্রেডে আসছি, আইকন হিসেবে। তো এটা একটা বাড়তি চাপ। চেষ্টা করবো যখনই যেখানে খেলি, সেই চাপটা সামলে খেলার চেষ্টা করবো।'
আগামী ৭ জানুয়ারি খুলনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিপিএল মিশন শুরু করবে ঢাকা ডমিনেটরস। এর আগে ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ও সিলেটের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের আসর।