সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি: শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পুরনো চোটে শান্ত, রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে
৬ জুলাই ২৫
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূল পর্বে দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যেকোনো বারের তুলনায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই সাফল্যের হার বেশি। সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও বিশ্বকাপ একেবারে খারাপ যায়নি বলে মনে করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আরও ভালো করার সুযোগ ছিল তাদের সামনে, এটাও মানছেন বাংলাদেশের ওপেনার।
নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে শুভসূচনা শুরু করে বাংলাদেশ। যদিও এর পরের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে রীতিমতো উড়ে যায় টাইগাররা। তারপরের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে যায় সাকিবের দল।

তবে আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রীতিমতো হৃদয় জিতে নেয় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সেই বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে যদিও পাঁচ রানে হেরে যায় সাকিবের দল। সবশেষে পাকিস্তানের বিপক্ষেও খেই হারায় লাল-সবুজের দল। অথচ এই ম্যাচটি জিতলেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে যেতো তারা।
নির্বাচকদের সুনজরে সোহান
১২ মিনিট আগে
দেশে ফিরে শান্ত বলেন, 'আমার মনে হয় যে যদি আমরা আগের বিশ্বকাপগুলো দেখি ফল অনুযায়ী ভালো করেছি। সব থেকে ভালো যে দিকটা ছিল আমরা যে দুটা ম্যাচ জিতেছি, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ওগুলোতে আমরা দল হিসেবে ভালো খেলেছি। যেগুলো জিততে পারিনি ওগুলো দল হিসেবে জিততে পারিনি। সবাই একসঙ্গে যে পারফরম্যান্সটা আমরা করেছি, এজ এ টিম হিসেবে। '
'হতাশ বলব না, কারণ আমার মনে হয় না যে কেউ এরকমভাবে চিন্তা করেছে যে আমরা সেমিফাইনালে যাওয়ার এরকম একটা সুযোগ তৈরি হবে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে। কিন্তু আমরা ওইটাই চিন্তা করেছি যে আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। সো ওটাই ইয়ে ছিল। যখন ওই সুযোগটা পেয়েছিলাম তখন সবার পরিকল্পনা ছিল...খুব ভালো একটা সুযোগ ছিল। ওটা আমরা নিতে পারিনি। কিন্তু এ আত্মবিশ্বাসটা আমরা সামনে যখন বিশ্বকাপ খেলব, ওই বিশ্বাসটা থাকবে যে এরকম পরিস্থিতিতে কীভাবে আরো ভালো করতে পারি।'
পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম দশ ওভারে করে এক উইকেটে ৭০ রান। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শেষপর্যন্ত ১২৭ রানে থামে তারা। পাঁচ উইকেট হাতে রেখে এই লক্ষ্য তাড়া করে পাকিস্তান। এই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে চলে যেতো বাংলাদেশ, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হতো নিউজিল্যান্ড!