'সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের, এর ওপর কিছু বলার নেই'

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পুরনো চোটে শান্ত, রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে
৬ জুলাই ২৫
আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টক আঙুল তুলতে খানিকটা সময় নিলেও রিভিউ নিতে দেরি করলেন না সাকিব আল হাসান। স্পষ্টভাবে বল ব্যাটে লাগলেও টেলিভিশন আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে বহাল থাকলেন হোল্ডস্টকের এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্তে। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরলেন সাকিব, বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। ম্যাচ শেষে নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন, তারা নিশ্চিত ছিলেন এটা আউট নয়, কিন্তু সিদ্ধান্ত না মেনে কিছুই করার ছিল না।
দ্রুত রান তুলতে না পারলেও বাংলাদেশকে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শাদাব খানের স্লোয়ার ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বিপত্তি ঘটান সৌম্য। একাদশে ফেরার ম্যাচে আউট হয়েছেন ২০ রানে। সৌম্য ফেরার পরের বলে গোল্ডেন ডাক মেরেছেন সাকিব।

শাদাবের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে খানিকটা ডাউন দ্য উইকেটে এসে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে ব্যাটে-বলে টাইমিংটা ঠিকঠাক করতে পারলেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শাদাবের বল সাকিবের ব্যাটে লেগে আঘাত হানে বুটে। আবেদন করলেও খানিকটা সময় নিতে সাকিবকে এলবিডব্লিউ আউট দেন অন ফিল্ড আম্পায়ার হোল্ডস্টক।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বাংলাদেশের ইতিহাস
২২ মিনিট আগে
তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন সাকিব। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায় বল ব্যাটে লেগেছে। আল্ট্রা এজে দেখা মিলে সেটির প্রমাণও। তাতে খানিকটা হাসি ফুটে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মাঝে। তবে পরোক্ষণেই বদলে যায় দৃশ্যপট। টিভি রিপ্লেতে যে এজ দেখা যায় সেটা ব্যাট এবং মাটির ধরে নিয়ে অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বহাল থাকেন ল্যাংটন। আমলে নেয়া হয়নি তিন মিটারের নিয়মও।
টিভি আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না সাকিব। যে কারণে অসন্তোষ নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবকে কথা বলতে দেখা যায়। তবে কাজে আসেনি সাকিবের সেই আলাপচারিতা। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় বাংলাদেশের অধিনায়ককে।
শান্ত বলেন, 'আমার কাছে, আমাদের সবার কাছে মনে হয়েছে আউটটা হয়নি। আমরা নিশ্চিত ছিলাম আউট হয়নি। সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের, এর ওপর কিছু বলার নাই, যত যা-ই করি।'
ম্যাচ শেষে সাকিবের এই আউট প্রসঙ্গে শান্তর সঙ্গে একমত ছিলেন এবাদত হোসেনও। তিনি বলেন, 'সাকিব ভাই যদি উইকেটে থাকত, তাহলে আমাদেরও বাকি উইকেটগুলো পড়ত না। উনার উইকেট আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উনার উইকেটের পরই কিন্তু আরও দুটি উইকেট পড়ে গেছে। উনি যদি উইকেটে থাকত, সিদ্ধান্তটা আমাদের পক্ষে এলে বাকি উইকেটগুলো পড়ত না।'