বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বাংলাদেশের ইতিহাস
২৪ মিনিট আগে
সুযোগ বার বার আসে না। তবে এলে তা দু হাত লুফে নিতে হয়। যা ঠিকভাবেই করল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হল বাংলাদেশের। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দায় বড়ভাবেই দিতে হল সাকিব আল হাসানের দলকে। আর টুর্নামেন্টের শুরুর দুই ম্যাচ হেরেও এখন সেমিফাইনালে পাকিস্তান। ৬ উইকেটের জয়ে অ্যাডিলেড ওভালে শেষ হাসি হাসল বাবর আজমের দল।
বাঁচা-মরার ম্যাচে একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ১১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র তৃতীয় বলেই তাসকিন আহমেদের বলে ফিরে যেতে পারতেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু নুরুল হাসান সোহান উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেয়ায় বেঁচে যান রিজওয়ান।
সুযোগ পেয়ে ধীরে সুস্থে দলের রান বাড়াতে থাকেন রিজওয়ান। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দেন বাবর আজম। এই জুটি ভাঙে দলীয় ৫৭ রানে। ১১তম ওভারে বাবরকে (২৫) ফেরান নাসুম আহমেদ। শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে তার ক্যাচ লুফে নেন মুস্তাফিজুর রহমান।
এর পরের ওভারেই ফিরে যান রিজওয়ান। পয়েন্ট অঞ্চলে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩২ রান করা এই ওপেনার। তার উইকেটটি নেন এবাদত হোসেন। ১৫তম ওভারে আবারও বাংলাদেশকে উদযাপনের সুযোগ করেন দেন লিটন দাস।

সাকিবের করা সেই ওভারে মোহাম্মদ নাওয়াজকে (৪) সরাসরি থ্রো'তে রান আউট করেন। পাকিস্তানের রান তখন তিন উইকেটে ৯২। এরপর দলীয় ১২১ রানে মোহাম্মদ হারিসের (৩১) উইকেট হারায় পাকিস্তান, কিন্তু ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে তারা। শান মাসুদ ১৪ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছি না: সালমান
৯ ঘন্টা আগে
অ্যাডিলেডে এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বাউন্সারে ছক্কা মারেন লিটন। তবে সেই ওভারেই ফিরতে হয় বাঁহাতি এই ওপেনারকে। আফ্রিদির শর্ট ডেলিভারিতে সামনের পায়ে ভর করে কভার দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা শান মাসুদের হাতে ধরা পড়তে হয় ১০ রান করা লিটনকে।
ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরার এক বল পরই ফিরতে পারতেন শান্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি শাদাব। তাতে জীবন পান ১১ রানে থাকা শান্ত। লিটন ফেরার পর ভালোভাবেই মাচের নিয়ন্ত্রণ নেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। দেখেশুনে খেলে ৫২ রানের জুটি গড়ে তারা। এই দুজনের ব্যাটে দশ ওভারের মধ্যে ৭০ রান তোলে বাংলাদেশ।
বিপত্তি ঘটে ১১ তম ওভারে। শাদাব খানের করা সেই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফিরে যান সৌম্য ও সাকিব। ১৭ বলে ২০ রান করা সৌম্য পয়েন্টে ধরা পড়েন শান মাসুদের হাতে। অপরদিকে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন সাকিব। শাদাব খানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তিনি। যদিও বলটি সাকিবের ব্যাটে লেগে পায়ে লেগেছিল। আউট হওয়ার পর রিভিউ নেন সাকিব। শেষরক্ষা হয়নি। থার্ড আম্পায়ারও অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
সাকিব ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। এবারের আসরে ও নিজ ক্যারিয়ারে এটাই তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। মাইলফলক উদযাপনের পরই অবশ্য ইফতেখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন শান্ত। ৯১ রানে তখন চার উইকেট নেই বাংলাদেশের।
এই খাদের কিনারা থেকে আর উঠতেও পারেনি তারা। ১৭তম ওভারে আবারও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন (৫) ও নুরুল হাসান সোহান (০)।
শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ২৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। পাকিস্তানের হয়ে ২২ রান খরচায় চার উইকেট নেন আফ্রিদি। ৩০ রান খরচায় দুই উইকেট নেন শাদাব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ- ১২৭/৮ (২০ ওভার) (শান্ত ৫৪, আফিফ ২৪*; আফ্রিদি ৪/২২, শাদাব ২/৩০)।
পাকিস্তান- ১২৮/৫ (১৮.১ ওভার) (রিজওয়ান ৩২, হারিস ৩১; নাসুম ১/১৪)।