বল বিকৃতি করেও শাস্তি পায়নি প্রোটিয়ারা, দাবি পেইনের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্বে পেইন
২০ জুন ২৫
২০১৮ সালে সাউথ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে বল টেম্পারিং করেছিল অস্ট্রেলিয়া। যার ফলে শাস্তি পেয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা। এমন কাণ্ডে স্মিথ ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব পান টিম পেইন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক এবার দাবি করেছেন, একই সিরিজে বল টেম্পারিং করেছিল স্বাগতিকরাও।
কেপটাউনে বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর বড় শাস্তির মুখে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক। এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ এবং ওয়ার্নার। ক্যামেরন ব্যানক্রফট নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ৯ মাসের জন্য।

তাছাড়া দুই বছরের জন্য নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন স্মিথ। আর আজীবন নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন ওয়ার্নার। পেইনের মতে, অজিরা এমন শাস্তির মুখে পড়লেও একই সিরিজে বল টেম্পারিং করে ধরা পড়েনি প্রোটিয়ারা। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে বল টেম্পারিং করেছিলেন সাউথ আফ্রিকার এক ক্রিকেটার।
তিন হাফ সেঞ্চুরিতে তিনশর কাছে বাংলাদেশের যুবারা
১ ঘন্টা আগে
আত্মজীবনী ‘টিম পেইন: দ্য প্রাইজ পেইডে’ পেইন লিখেছেন, ‘সিরিজের চতুর্থ টেস্টে আমি বল টেম্পারিং করতে দেখেছি। ভাবা যায়! কেপটাউনে এত কিছু হওয়ার পর এমন এক কাজ। আমি বোলারের প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখনই বড় স্ক্রিনে দেখতে পাই, মিড অফে দাঁড়িয়ে থাকা এক সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার বলের আকৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।’
কেপটাউন টেস্টে টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের সিরিশ কাগজ দিয়ে বল ঘষার ব্যাপারটি। কিন্তু চতুর্থ টেস্টে ‘টেলিভিশন পরিচালক’ ইচ্ছা করেই সে ঘটনা লুকিয়েছেন বলে দাবি পেইনের।
তিনি লিখেন, ‘যে টেলিভিশন পরিচালক ব্যানক্রফটের বল বিকৃতির ভিডিও ফাঁস করেছিলেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে এই দৃশ্যটি স্ক্রিন থেকে সরিয়ে নেন এবং ফুটেজ হারিয়ে যায়। আমরা আম্পায়ারের কাছে গিয়েছিলাম, যা দেখতে হয়তো কিছুটা দৃষ্টিকটু লেগেছিল। তবে আম্পায়ার আমাদের পাত্তা দেননি আর ফুটেজটাও তো হারিয়ে গিয়েছিল।’