আমরা যখন জিতি তখন কিন্তু এত প্রশ্ন আসে না: সালমা
ছবি: সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||
যুবাদের শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াড ঘোষণা
১৫ ঘন্টা আগে
এশিয়া কাপ শুরুর আগে অনুশীলনে হাঁসফাস করতে দেখা গেছে ক্রিকেটারদের। প্রথম দিনের খেলাতেও ছিল এমন চিত্র। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে ভিন্ন আচরণ করতে শুরু করেছে সিলেটের আকাশ। রাতে বৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিতই। বেরসিক বৃষ্টির কারণে ম্যাচও বন্ধ থেকে অনেকটা সময়। আগের রাতে অনেকটা সময় বৃষ্টি হওয়ায় উইকেট খানিকটা মন্থর হয়ে যায়। স্পিনাররা পাচ্ছিলেন বাড়তি টার্নও।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নামায় উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং টার্নিং ও মন্থর উইকেটে যে ধরনের ব্যাটিং করা প্রয়োজন ছিল সেটা করতে পারেনি একটুও। বেশিরভাগ সময় ক্রস শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মাঝে নিগার সুলতানা জ্যোতি কিংবা সালমা খাতুন প্রচেষ্টা চালালেও দলের রান ৭০ এর বেশি হয়নি।

হতাশার ব্যাটিং শেষে বোলিংয়ে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দারুণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটের জয় এনে দেন সিদরা আমিন। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের দিনে সংবাদ সম্মেলেন এসেছিলেন সালমা। ৬ ম্যাচ পর হারা বাংলাদেশের এই প্রতিনিধিকে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন সাংবাদিকরা।
৮ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকটায় খানিকটা বিরক্তই দেখা গেল সালমাকে। সেখান থেকেই হয়তো বলে ফেললেন, ‘আসলে কথা হচ্ছে আজকে আমাদের দিন খারাপ গেছে। যে কারণে এত প্রশ্ন আছে। আমরা যখন জিতি তখন কিন্তু এত প্রশ্ন আসে না।’
টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার দিনে জ্বলে উঠতে পারেনি মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে না পারায় সালমা ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন ব্যর্থ। প্রস্তুতি ঠিক থাকলেও খানিকটা ভাগ্যকে দুষছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
সালমা বলেন, ‘আসলে আমরা দলের সবাই প্রস্তুত থাকি। যেকোনো মুহূর্তে যাকে যখন দরকার তখন নামানো হবে। ওরকম আসলে চাপ ছিল না। টপ অর্ডার পারছে না বলে যে আমরা পারবো না। আমি যখন গিয়েছি, নরমালি ব্যাট করেছি, দলকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা ছিল। সবার মধ্যেই এই প্রস্তুতি ছিল। হয়তো ভাগ্য খারাপ আজকে রান করতে পারিনি।’