আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না: লিটন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা, বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর
২ ঘন্টা আগে
গায়ানার ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর এলোমেলো বোলিংয়ের কারণে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে টাইগারদের।
ম্যাচ শেষে দুই-একজন পাওয়ার হিটারের শূন্যতা অনুভব করতেই পারে বাংলাদেশ। ওপেনিং ব্যাটার লিটন দাস জানিয়েছেন, দলে কোনো পাওয়ার হিটার থাকলে ভালো হতো। মূলত এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, 'তারা জেনেটিক্যালি অনেক পাওয়ারফুল, যেটা আমি না বা আমাদের টিমের কেউই না। তারা চাইলেই বড় গ্রাউন্ডসেও ছয় মেরে দিতে পারে যেটাতে আমি বা আমাদের দলের কেউই সক্ষম নয়। আমরা সব সময় চেষ্টা করি চার মারার জন্য। আপনারা দেখবেন, আমাদের কিন্তু চারই বেশি হয়। ওরা ছয় বেশি মারে। এই পার্থক্যটা সবসময় থাকে।'
লিটন আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘তুই আমার দলের মেইন প্লেয়ার’: সাইফউদ্দিন
২৫ জুলাই ২৫
শুধু এই ম্যাচই নয় সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল যাচ্ছেতাই। সিরিজ শেষে লিটন তাই দলের সবাইকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি মনে করেন উপরের সারির ব্যাটাররা ভালো করলে নিজের সারির ব্যাটাররা মন খুলে খেলতে পারতেন।
লিটন বলেন, 'আমরা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করিনি। প্রথম ম্যাচেও না, দ্বিতীয় ম্যাচেও না। সাকিব ভাই ছাড়া। আমরা যদি প্রথম থেকে যেমন আমি, বিজয় ভাই বা মুনিম যেদিন খেলেছে আমরা যদি আমাদের রোলটা পালন করতে পারতাম তাহলে হয়তো পেছনের দিকের ব্যাটাররা মন খুলে খেলতে পারতো। আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য সব ঠিকঠাক হয়নি।'
ম্যাচের ফলাফলে বোলারদেরও দোষ দেখছেন লিটন। তারা নিজেদের কাজটা ঠিক মতো করতে পারেননি বলে মনে করেন এই ওপেনার। সেই সঙ্গে ক্যারিবীয় ব্যাটারদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। তারা ভালো বলেও অনায়াসে চার-ছক্কা মারতে পেরেছেন। এটাই বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেছে।
লিটনের ভাষ্য, 'আজকের ম্যাচে বোলারদের এক্সিকিউশনে একটু সমস্যা ছিল। সব বোলার নিজেদের জায়গায় ঠিকঠাক বল করতে পারেনি। পুরান এবং মায়ার্সকে ক্রেডিট দিতে হবে, ওরা ভালো ব্যাটিং করেছে। অনেক ভালো ভালো বলেও ওরা মেরেছে। এই জিনিসটা ওদের প্লাস পয়েন্ট ওরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে, আমরা খেলতে পারি না। আমার মনে হয় এই জিনিসটা কাজ করেছে বোলারদের মাথায় যে একটু ১৯-২০ হলেই মেরে দিতে পারে উইন্ডিজ ব্যাটারা।'