তবুও খালেদে মন ভরেনি ডমিঙ্গোর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
যখন ক্রিকেট শুরু করেছি তখন থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছি, ভবিষ্যতেও দিতে হবে: সোহান
৪০ মিনিট আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের লক্ষ্য মাত্র ৮৪ রানের। এমন অবস্থায়ও তাদের স্বস্তিতে থাকতে দেননি খালেদ আহমেদ। নিজের করা ১১ বলের মধ্যে তিন উইকেট তুলে নিয়ে রীতিমতো ক্যারিবীয়দের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই পেসার। তবে এমন পারফরম্যান্সেও হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মন ভরাতে পারেননি তিনি।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৪৫ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহানের দুটো হাফ সেঞ্চুরির পরও বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি। এই অল্প পুঁজি নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ যেভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে তা প্রশংসাযোগ্য।
বিশেষ করে খালেদের বোলিংয়ের রেশ চোখে লেগে থাকার মতোই। প্রথম ইনিংসেও ২২ ওভার বোলিং করে ৫৯ রান খরচায় চারটি মেইডেনসহ দুই উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। দুই ইনিংসে এখন পর্যন্ত পাঁচ উইকেট নিয়েও টেস্টে ধারাবাহিকতার অভাব থাকায় ডমিঙ্গোর প্রশংসা অর্জন করতে পারেননি তিনি।

ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ডমিঙ্গো বলেন, ‘নাহ (আলাদা কিছু দেখিনি খালেদের মাঝে)। সে তিন উইকেট নিয়েছে (দ্বিতীয় ইনিংসে) কিন্তু তার অনেক উন্নতির জায়গা আছে। ধারাবাহিকতার জায়গায় তার উন্নতি করতে হবে।’
৫-০ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাবো প্রত্যাশা করিনি: মার্শ
২৯ জুলাই ২৫
‘কিছু সময় সে ভালো বল করে উইকেট পাচ্ছে না আবার কিছু সময় সে ভালো বল না করেও উইকেট পাচ্ছে। এটাই খেলাটার ধরণ। হ্যাঁ দ্বিতীয় ইনিংসে সে ভালো বল করেছে এবং উইকেটও পেয়েছে। কিন্তু তার এখনো অনেক উন্নতি করতে হবে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে। জয় পেতে চতুর্থ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ৩৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। খালেদ তার প্রথম ওভারেই ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। ফলে এক রান করেই ফিরতে হয় তাকে।
এরপর নিজের পঞ্চম বলে রেমন্ড রেইফারকে ফেরান খালেদ। এই পেসারের বুক সমান বাউন্স ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন রেইফার। যদিও বল তার গ্লাভসে লেগে নুরুল হাসান সোহানের হাতে জমা পড়ে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে এনক্রুমাহ বোনারের বিপক্ষে কট-বিহাইন্ডের জোড়ালো আবেদন করেছিলেন খালেদ।
যদিও আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তবে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটে লাগেনি। এর এক বল পরেই দারুণ এক সিমিং ডেলিভারিতে বোনারকে বোল্ড করেন এই টাইগার পেসার। বাকি সময়টা সাবলীল হাতে সামলান ব্ল্যাকউড ও ক্যাম্পবেল। ব্ল্যাকউড ১৭ ও ক্যাম্পবেল ২৮ রান করে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন।