আমাদের দুয়েকজন ছাড়া কেউ ভালো স্পিন খেলে না: মুমিনুল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বোলিংয়ে মিরাজের উন্নতি, ব্যাটিংয়ে শান্ত-মুমিনুল-জাকের
৩০ এপ্রিল ২৫
উপমহাদেশের দলগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে পেস তাণ্ডবে ভুগছে এটা একেবারে নিয়মিত চিত্র। তবে এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেই চিত্র বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ। উপমহাদেশের দলগুলোর শক্তির জায়গা স্পিনেই কুপোকাত হয়েছে মুমিনুল হকের দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ এবং সাইমন হার্মারের স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত-তামিম ইকবাল। দুই টেস্টে দুই স্পিনার মিলে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। উপমহাদেশের দল হওয়ার পরও স্পিনে এমন পরিস্থিতি কেন? এমন প্রশ্ন ছোঁড়া হলে তামিম জানান, বাংলাদেশের ব্যাটাররা উঁচু মানের স্পিনারদের ভালো খেলতে পারেন না।

এ প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন, ‘এটা তো আগে থেকেই সবাই জানে, উঁচু মানের স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলি না। আমাদের দুয়েক জন ছাড়া আর কেউ স্পিন খুব ভালো খেলে না। স্পিন কোন দিক দিয়ে কীভাবে খেলতে হবে, সেটা হয়তো আমরাও বুঝি না। এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’
ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের: সিমন্স
২৬ মিনিট আগে
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিটি দলেই প্রায় দুই একজন বাঁহাতি স্পিনাররা রয়েছে। যাদেরকে বছরের পর বছর খেলে থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবুও কেশভ মহারাজকে দুই ইনিংসে ১৪ উইকেট দিয়েছে মুমিনুলের দল। বাঁহাতি এই স্পিনারদের এত বেশি খেলার পরও কেন এই পরিস্থিতি। সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
মুমিনুল বলেন, ‘আমাদের উইকেট আর এখানকার উইকেটের একটু ভিন্নতা আছে। উপমহাদেশে যারা বোলিং করে তারা ‘সাইড স্পিন’ করে, যেটা আমাদের দেশে খুব কাজে দেয়। এটা আমাদের দেশে ও উপমহাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সব জায়গায় সাইড স্পিন খুব একটা কাজে দেয় না। এখানে ‘ওভার স্পিন’ কার্যকর।’
‘আমাদের বোলাররা হয়তো কন্ডিশনের জন্য সাইড স্পিন করে। এখানে এসে ওরা ওভার স্পিন করবে, (এতো সহজ নয়)। ওভার স্পিনের জন্য টেকনিক্যাল পরিবর্তন করতে হয়। তখন তার আগের টেকনিকের সমস্যা হতে পারে। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের স্পিনার এবং আন্তর্জাতিক স্পিনারের মানে অনকে পার্থক্য আছে।’