নিউজিল্যান্ড সফরে টাইগারদের সঙ্গে যোগ দেবেন ভেটরি

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হারিসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিল পাকিস্তান
৪ ঘন্টা আগে
৩৯৫ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করে চট্টগ্রাম টেস্টে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই টেস্টের শেষ দিন প্রথম দুই সেশনে কোনো উইকেট এনে দিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে চট্টগ্রামের উইকেটে শেষদিন সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা ছিল স্পিনারদের কাছ থেকে। যদিও তারা হতাশ করেছেন।
এমন পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা টাইগার স্পিনারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। যদিও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার আকরাম খান মনে করেন স্পিন বোলিং কোচ না থাকার কারণেই চট্টগ্রাম টেস্টে টাইগার স্পিনারদের এমন মলিন পারফম্যান্স।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আগেই জানা গিয়েছিল, এই সিরিজে নিয়মিত স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেটরিকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাই খন্ডকালিন স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলামকে। তিনিও ব্যক্তিগত কারণে চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যাননি।
টেস্ট বাদ দিয়ে বিদেশি লিগে খেলবেন উইলিয়ামসন
৩০ মে ২৫
এর ফলে ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানকেই পরামর্শ দিতে দেখা গেছে মেহেদী হাসান মিরাজদের। আকরাম মনে করেন অনেকদিন পর লম্বা সময় বোলিংয়ের ধকল সামনে উঠতে না পারার কারণেই বাংলাদেশের স্পিনারদের পারফরম্যান্স এতোটা চোখে লেগেছে।
তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন ভেটরির এখানে আসাটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল করোনার কারণে। ও থাকলে অনেক ভালো হতো। ওর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারলে সুবিধা হতো। আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক দিন পর টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। বোলাররা অনেকদিন পর এতো লম্বা সময় বোলিং করেছে। এ কারণেই চোখে পড়েছে আমার দুর্বল জায়গাগুলো। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। (মায়ার্স) একাই সে ম্যাচিটা জিতিয়েছে।'
বাংলাদেশ এখন পুর্ণকালীন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজছে। তবে বাংলাদেশ দলের আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে স্পিন কোচ হিসেবে থাকছেন ভেটরিই। এমনটাই জানিয়েছেন আকরাম। যেহেতু ভেটরি নিউজিল্যান্ডেই আছেন তাই তাঁকে নিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বাংলাদেশ। মার্চের শেষদিকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং সমান সংখ্যক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
ভেটরি প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, 'এই মুহূর্তে আমরা স্পিন কোচ খুঁজছি। আমরা চেষ্টা করছি। ভেটরি কিন্তু আসার আগ্রহ দেখিয়েছিল। আসলে তাঁকে ৬০-৭০ দিন দেশের বাইরে থাকতে হতো। নিউজিল্যান্ড দেশের বাইরে থেকে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টাইনের জন্য একটি হোটেল বুক করেছে। এটাতে কিন্তু ওভার বুকড। ওকে যদি আনি ২৩ দিনের জন্য আর ৭০ দিনের জন্য টাকা পয়সা দিতে হয় তাহলে আর্থিক ভাবে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। তাই তাঁকে আনত পারিনি। সে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। ওর কোয়ারেন্টাইন লাগবে না। যেহেতু সে সেখানেই আছে। এর মধ্যে ভালো একজন স্পিন বোলিং কোচ পাওয়ার চেষ্টা করবো আমরা।'