শৃঙ্খলাই ভারতীয় বোলিংয়ের মূল শক্তি!

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারত চাইলেও ইংল্যান্ডকে পরের তিন ফাইনাল দিচ্ছে আইসিসি
১৪ জুন ২৫
প্রথম দুই টেস্টে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সমান একটি করে ম্যাচ জয় পাওয়ায় জমে উঠেছে সিরিজ। পরবর্তী ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার রণ পরিকল্পনা সাজানোয় ব্যস্ত দুই দল। এর মাঝেই প্রতিপক্ষের বোলারদের প্রশংসার সাগরে ভাসিয়েছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। সফরকারীদের শৃঙ্খলা মেনে পরিকল্পনামাফিক বোলিংই মূল শক্তি বলে মনে করেন অজি প্রধান কোচ।
অ্যাডিলেডের দিবা-রাত্রীর টেস্টে স্বাগতিকরা জয় লাভ করলেও ব্যাট হাতে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। এমনকি বক্সিং ডে টেস্টেও ব্যাট হাতে যারপরনাই ব্যর্থ ল্যাঙ্গার শিষ্যরা। দুই ম্যাচের চার ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ রান ২০০। সেটিও এসেছে মেলবোর্নে শেষ ইনিংসে। আর একে শুধুমাত্র ব্যাট হাতে স্বাগতিকদের ব্যর্থতা ভাবলে খাটো করে দেখা হবে ভারতীয় বোলিং ইউনিটকে।
বিদেশের মাটিতে ভারতীয় বোলিং শক্তি দুর্বল, শতাব্দীর প্রথম দশকের এই ধারণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ- রবিচন্দ্রন অশ্বিন- মোহাম্মদ শামিরা। বর্তমানে বিশ্বের যেকোন প্রান্তেই তাঁরা নিজদের বোলিং গোলায় দগ্ধ করতে পারেন প্রতিপক্ষকে। আর এর মূলে রয়েছে তাদের একাগ্রতা ও শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিং এমনটিই বলেছেন স্বাগতিক কোচ ল্যাঙ্গার। এরই সঙ্গে সিরিজের দুই ম্যাচেই ব্যাট বলের দারুণ লড়াই উপোভোগ করেছেন তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় ল্যাঙ্গার বলেন, 'বিগত কয়েক বছর ধরেই তাদের (ভারত) বোলিংয়ের মূল শক্তি শৃঙ্খলা। তারা দারুণ একাগ্র ও সুশৃঙ্খল। গত দুই টেস্টের ব্যাট বলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আমি উপভোগ করেছি। যদিও তাদের মোকাবিলা করতে আমাদের আরো পরিশ্রম করা প্রয়োজন এবং এটিই টেস্ট ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য।'
ছিটকে গেলেন ডগেট, বদলি অ্যাবট
১১ ঘন্টা আগে
'আমরা শুধুমাত্র একটি ইনিংসে ২০০ (মেলবোর্ন) করেছি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে আপনি যদি নিয়মিত ২০০ এর বেশি করতে না পারেন তবে আপনাকে উন্নতির পথ খুঁজতেই হবে', তিনি যোগ করেন।
শেষ দুই টেস্টেই বোলাররা উইকেটের দুই প্রান্ত থেকেই কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু সেটির সঙ্গে ব্যাটসম্যান ভেদে আলাদা পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন তাঁরা। কিছু ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে সোজা লাইনে বোলিং করেছেন ভারতীয় বোলাররা। সঠিক পরিকল্পনার ও সেই অনুযায়ী ফিল্ডিং সাজিয়ে সফল হয়েছেন অতিথিরা এমনটাই বলেছেন স্বাগতিক কোচ।
ল্যঙ্গার আরো বলেন, 'আমরা যেই উইকেটগুলোতে খেলেছি সেখানে তারা (ভারতীয়) কিছুটা সুবিধা আদায় করে নিতে পেরেছে। দুইটি উইকেটেই সুইংও ছিলো। কিন্তু ভারতীররা আমাদের বেশ কিছু ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে সোজা বল করেছে এবং সেই অনুযায়ী ফিল্ডার সাজিয়েছিলো।'
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে ৭ জানুয়ারি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। সর্বশেষ ২০১৮ তে এই ভেন্যুতে মুখোমুখি লড়াইয়ে ড্র করেছিলো দল দুইটি।