চাপ নেই তবে সহজ হবে না, বলছেন সাকিব

ছবি: সংগৃহিত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চলতি মাসে করোনাকালীন দীর্ঘ স্থবিরতা কাটিয়ে আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছেন দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানও। এই ফিরে আসাটা চাপের না হলেও সহজ হবেনা বলে মত তাঁর।
সাকিবের দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার অবসান হতে পারতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের মাটিতে। কিন্তু সেই অপেক্ষার প্রহর আরো বেড়েছে। ভাগ্যদেবীই হয়তো কলম্বো কিংবা গল নয় ফেরার মঞ্চ হিসেবে লিখে রেখেছিলেন দেশের হোম অফ ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

চাপকে কীভাবে স্কয়ার কাট করে বাউন্ডারিতে আঁছড়ে ফেলতে হয় সাকিব তা দেখিয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু এবারের দৃশ্যপট ভিন্ন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারো ফিরতে পারায় তাই বেশ ভালো অনুভব করছেন এই অলরাউন্ডার। আর তাঁর এবারের ফিরে আসাটা সহজ হবেনা জেনেও স্বভাবসুলভ ভাবেই নির্ভার থাকছেন সাকিব।
দেশে ফিরে তিনি বলেন, 'আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছি ভেবে ভালো লাগছে, চাপ না। একটা প্রত্যাশা তো সবারই থাকে, আমারও আছে। তবে আমার জন্য এবার সহজ হবেনা। সেই হিসেবে অবশ্যই চেষ্টা করবো সবমিলিয়ে আগের জায়গাতে যেন থাকতে পারি। '
নতুন বছরের শুরুতেই বাবা হওয়ার সংবাদ দিয়েছেন সাকিব। অভিজ্ঞতা পুরোনো হলেও তৃতীয়বারের মতো এই স্বর্গীয় অনুভূতির সংবাদে তিনি দারুণ উত্তেজিত। অনাগত সন্তান ও তাঁর মায়ের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, 'আসলে এই অভিজ্ঞতা তো আগেও হয়েছে, এটা তো নতুন কিছুনা। তৃতীয়বার অবশ্যই আমি এক্সসাইটেড। আমি চাই আল্লাহর রহমতে সবার দোয়ায় যেন সুস্থভাবে আমার সন্তান পৃথিবীতে আসতে পারে। সুস্থ সবল ভাবে যেন বাচ্চা ও মা দুজনেই থাকতে পারে।'
ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন সাকিব। যদিও সময়টা ভালো যায়নি দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের। ব্যাট হাতে ঐ টুর্নামেন্টটিতে ৯ ম্যাচে ১২.২২ গড়ে করেছেন ১১০ রান। যেখানে তাঁর সর্বোচ্চ রান ২৮। আর বল হাতে সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬.০০ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ৬ উইকেট।