আশরাফুলের কাছেই প্রথম এসেছিলো আইসিএলের প্রস্তাব

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০০৮ সালে নিষিদ্ধ টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল) খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ১৪ ক্রিকেটার। পরবর্তীতে তাদের ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদিও কিছুদিন পর তাদের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে বিসিবি। তাদের অনেকেই এখন ক্রিকেট খেলছেন, অনেকে জড়িয়েছেন বোর্ডের কর্মকান্ডেও।
মঙ্গ??বার (২১ জুলাই) আইসিএল নিয়ে মুখ খুলেছেন শাহরিয়ার নাফিস। বাংলাদেশের দল ঢাকা ওয়ারিয়র্সের ওপেনার হিসেবে খেলেছিলেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আইসিএলের কথা তিনি প্রথমে শোনেন মোহাম্মদ আশরাফুলের কাছ থেকে। পরে যদিও সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে নাফিস বলেন, 'ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল) যখন আমি যোগ দেই ২০০৮ সালে, এটা তার আগের বছরই ভারতে শুরু হয়েছিল। পত্র পত্রিকাতে কিছুটা পড়েছিলাম। টিভির পর্দায়ও কিছু খেলা দেখেছিলাম। আমরা সম্ভবত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য অনুশীলন করছিলাম। ওই সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আমার ভালো বন্ধু, ও এসে আমাকে বললো, "দোস্ত, তোর কাছে যদি প্রস্তাব আসে বিদেশে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার ব্যাপারে তুই কি করবি?''

'প্রশ্নটা শুনে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। কিছুক্ষণ চিন্তা করে আমি বলেছিলাম এরকম যদি কোনো প্রস্তাব আসে তাহলে আমি বিবেচনা করবো না। কারণ আমি এই ব্যাপারে কিছু ভাবছি না। এই এসব নিয়ে চিন্তাই করতে চাই না। তবে এর পরের দুই-তিন মাসের ঘটনা প্রবাহ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগের ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করতে প্রবাহিত করে।'
ভারতের আইসিএল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিপিএল পর্যন্ত সব বড় বড় টুর্নামেন্টের সঙ্গেই নাম জড়িয়ে আছে কৌস্তভ লাহিড়ীর। তার প্রস্তাব পেয়েই বাংলাদেশের ১৪ ক্রিকেটার সে সময় বোর্ডের সঙ্গে বিদ্রোহ করে। নাম কৌস্তভ লাহিড়ী হলেও কাস্টি লাহিড়ী নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি। আইসিএলে বাংলাদেশের দল ঢাকা ওয়ারিয়র্সের ম্যানেজার এই ভারতীয় বাঙালী, একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের এজেন্টও। বাংলাদেশ থেকে ক্রিকেটার ‘ভাগিয়ে’ নেওয়ার কাজটা লাহিড়ীই করেছিলেন।
তিনিই একে একে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রথম প্রস্তাবটি এসেছিল বাংলাদেশের তৎকালীন অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের কাছে। কথিত আছে, আশরাফুলই আইসিএলের জন্য দল,গুছিয়ে পরবর্তীতে নিজেকে সরিয়ে নেন। নাফিস জানিয়েছেন, এই কথাটা আংশিক সত্য। আশরাফুল দল গুছিয়েছিলেন সত্য, তবে তার দলের সবাই আইসিএলে যায়নি। নতুন দল গঠন করতে কাঠখর পুড়িয়েছিলেন সেই লাহিড়ী।
নাফিসের ভাষ্য, 'ঢাকা ওয়ারিয়র্স দলটি সম্পূর্ণ ভাবে কোস্তব লাহিড়ী গুছিয়েছিলেন এবং তিনি প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনিই খেলোয়াড় বাছাই করে দল গুছিয়েছিলেন। এই রিউমারটা আংশিক সত্য। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগের (আইসিএল) প্রথম প্রস্তাব আশরাফুলের কাছে এসেছিলো। উনি তখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন।'
নাফিস আরও বলেন, 'আইসিএল যখন বাংলাদেশ থেকে একটি দল তৈরি করার পরিকল্পনা করে তারা অফিসিয়াল প্রস্তাবটা নিয়ে আশরাফুলের কাছে এসেছিল। আশরাফুলের কাছে যখন প্রস্তাবটা আসে তখন আশরাফুলতো খেলবেই এবং আশরাফুল একটি দল গঠন করবে। ওই ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়েছিল এবং আশরাফুল একটি দল গুছিয়েছিল। তখন কৌস্তভ লাহিড়ী একটি নতুন দল গঠন করে। আশরাফুলের গঠিত দলের সবাই আসলে আইসিএলে যায়নি। কিছু প্লেয়ার পরে খেলতে গিয়েছিল।'