দল না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছিলেন তামিম!

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। সম্প্রতি ক্রিকফ্রেঞ্জি লকডাউন লাইভে এ নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় দলের নব্য ওয়ানডে অধিনায়ক।
তামিম বলেন, 'তখন আসলে প্রিমিয়ার লিগে দল পেতে হলে সাইনিং করতে হতো। সাইনিং করতে না পারলে ওই ক্রিকেটার আর খেলতে পারতো না ওই বছর। তো প্রিমিয়ার লিগের আগে মাত্র একদিন সময় পেয়েছিলাম আমরা। কেননা আমাদের স্কটল্যান্ড থেকে আসা একটি দলের সঙ্গে ম্যাচ ছিল চট্টগ্রামে। আমার ভাই (নাফিস ইকবাল) একটি দলে সাইনিং করে চলে গেছে। আমাকে বলল তুইও যোগাযোগ কর।

আমরা ৫-৬ জন একটা মাইক্রোতে উঠলাম, সাইনিং করতে যাওয়ার জন্য। ইস্টার্ন প্লাজার সামনে ওরা আমাকে মাইক্রো থেকে নামিয়ে দেয়। আমি জিগ্যেস করলাম, কেন নামিয়ে দিচ্ছেন? ওরা বলল বিসিবির কোনও এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আমি ভাইকে ফোন দেই তখন। নাফিস ভাইয়া বলে, ওরা তোকে দলে নেবে না হয়তো। আমি তখন রাস্তায় ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে কান্না করি। পুরোপুরি কান্না চলে আসে আমার।'
যদিও পরবর্তীতে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের সহযোগিতায় ওল্ড ডিওএইচএস দলে জায়গা পান তামিম। এরপর ভালো পারফরম্যান্স করায় জাতীয় দলে জায়গা হয় তাঁর।
তামিম আরও বলেন, 'ওই সময়ে যে আমি ওল্ড ডিওএইচএসে খেলতে পারব সেটা কল্পনাই করতে পারিনি। সুজন ভাই আমাকে নিয়ে যায়। ডিওএইচএস তখন চ্যাম্পিয়ন দল।
ওই দলে তখনকার জাতীয় দলের ওপেনাররা খেলে। তারপরেও আমি অনুশীলন চালিয়ে যাই। এরপর কীভাবে যেন জায়গা পাই। ওই টুর্নামেন্টের পর জাতীয় দলেও খেলি।'
পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে কয়েক বছর আগে আবারও ইস্টার্ন প্লাজার সামনে যান তামিম, 'কয়েক বছর আগে আমি আবার ইস্টার্ন প্লাজার সামনে যাই। তখন ওই জায়গাটায় আমি একটু দাঁড়াই। চিন্তা করি ওইদিনের কথা।'