|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ক্রিকেটে নন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যানের গুরুত্ব অনেক বেশি। বোলারের মানসিক অবস্থা বা বোলিংয়ের ধরন অনুযায়ী স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যানকে সাহায্য করে ম্যাচের গতিপথও বদলে দিতে পারেন তারা। ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকে চলে আসা এই প্রথা পুরোপুরি অনুসরণ করেন তামিম ইকবাল। তাঁর দেখাদেখি টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন। সম্প্রতি তামিমের লাইভে জানা গেল, সাবেক শ্রীলঙ্কান ওপেনার তিলকারত্নে দিলশানের কাছ থেকে এই দীক্ষা নেন তামিম। তিনিই সেটা ছড়িয়ে দেন পুরো দলে।

লিটন দাস, সৌম্য দরকার, তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল ইসলামকে তামিমের সাম্প্রতিক ফেসবুক লাইভে এ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার প্রেক্ষাপট উন্মোচন করেন লিটন। 

তিনি বলেন, 'মুমিনুল ভাইয়ের একটা বিষয় ভালো লাগে। উনি অনেক কথা বলে খেলার সময়। প্রতি বলেই কথা বলে। এটা ভালো লাগে। কেননা মাঠে দুজনেরই থাকতে হয়, মাঠের বাকি সবাই তো বিপরীতে থাকে।'

এই কথার পরই মুমিনুল বলেন, 'এটা আমি শিখেছি তামিম ভাইয়ের কাছ থেকে। তামিম ভাই এটা নিয়ে কিছু বলেন যেন আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা আরও যেন শিখতে পারে।'

দিলশানের কাছ থেকে এমন দীক্ষা নেওয়ার কথা সতীর্থদের আগেও বলেছেন তামিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শকদের সামনে সবকিছু খোলাসা করার তাড়না থেকে তামিম বিষয়টি আবারও জানান।

তিনি বলেন, 'এটা আমাকে বলেছেন তিলকারত্নে দিলশান। তিনি বলেছিলেন যেসব ক্রিকেটার স্ট্রাইকের অন্য প্রান্তে থাকেন তারা খেলা সবচেয়ে ভালো বুঝে। আমিও এটা মেনে চলি অনেক। সৌম্যের সঙ্গে কথা বলি, লিটন ইদানিং অনেক কথা বলে ব্যাটিংয়ে নামলে।'

লাইভে থাকা আরেক ওপেনার সৌম্য এ নিয়ে বলেন, 'এটা অনেক কাজে লাগে। অনেক বেশি কাজে লাগে। অনেক চাপে থাকলেও অন্য প্রান্তের কারো কথায় সবকিছু মুহূর্তের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।'

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ভালো সময় কাটেনি তামিমের। পুরো আসরে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। 

এই ব্যর্থতার প্রসঙ্গে তামিম বলেন, 'বিশ্বকাপে আমি এই সমর্থন (নন স্ট্রাইক ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে) পাইনি। সেভাবে আসলে হয়ে ওঠেনি। এই সমর্থনটুকু হয়তো আমার দরকার ছিল। কেননা ফর্মে ছিলাম না।'