তামিমের সহায়তায় মুশফিকের ব্যাট পেলেন আফ্রিদি

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনাভাইরাসের কারণে বিপাকে পড়া মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে ব্যাটটি ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে।
যিনি ব্যাটটি কিনেছেন নিঃসন্দেহে তাঁকে সকল ক্রিকেট প্রেমীই চিনবেন এক নামে। তিনি আর কেউ নন, পাকিস্তানের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। নিজের দাতব্য সংস্থা শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের জন্যই এটি কিনেছেন তিনি।
এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে মুশফিকের ব্যাটের সন্ধান পেলেন আফ্রিদি? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এরই মধ্যে দিয়েছেন মুশফিক নিজেই। জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সহায়তায় ব্যাটটি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন আফ্রিদি। তিনিই মূলত মুশফিকের ব্যাটের ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলেন পাকিস্তানের এই তারকা অলরাউন্ডারকে।

মুশফিক বলেছেন, 'আমি আমার বন্ধু তামিমকেও ধন্যবাদ দিতে চাই। তাঁর সাথে আফ্রিদির সম্পর্ক খুবই ভালো। ওরা একই দলে খেলেছে পিএসএলে, আমার সাথেও খেলেছে। সে বিপিএলেও খেলে, আমাদের সাথে সেভাবেই ওর একটা ভালো সম্পর্ক।'
আফ্রিদি নিজেও অবশ্য বিজ্ঞপ্তিটি দেখেছিলেন। পরবর্তীতে মুশফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনেছেন তিনি। মুশফিকের ভাষ্যমতে, 'শহীদ আফ্রিদি তার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমার ব্যাটটি কিনে নিয়েছেন। ব্যাট নিলামের খবরটি উনার চোখে পড়েছিলো এবং উনি ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করেন গত ১৩ মে। পরে আমি ওনাকে নিলামের লিঙ্ক দেই এবং উনি সেভাবেই আগায়। আমাকে জানানো হয় উনি ২০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে ব্যাটটি কিনতে চান। এরপর পিকাবুর সাথে বাকি সব চূড়ান্ত করেন। তারা আরও বিস্তারিত বলতে পারবে।'
২০১৩ সালে গল টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ইতিহাস রচনা করা সেই প্রিয় ব্যাটটিই করোনা দুর্গতদের সাহায্যার্থে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
নিবকো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পিকাবু ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাধ্যমে অনলাইনে নিলামে উঠানো হয় মুশফিকের ব্যাটটি। যার ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ৬ লাখ টাকা। কিন্তু শুরু থেকেই পিকাবুর ওয়েবসাইটে ভুয়া বিডারদের আনাগোনা দেখা যায়।
ভুয়া বিডিংয়ের কারণে কিছুটা সময়ের জন্য নিলাম স্থগিত রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পিকাবু। এরপর তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে পুনরায় নিলাম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের ক্রিকেট সরঞ্জাম বিক্রি করেছেন সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ এবং সৌম্য সরকার। সাকিবের বিশ্বকাপের ব্যাটটি ২০ লাখ টাকায় কিনে নেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশী।
অপরদিকে তাসকিনের প্রথম হ্যাট্রিক করা বলটি এবং সৌম্যর প্রথম সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি বিক্রি হয় সাড়ে আট লাখ টাকায়। ব্যাট ও বল দুটিই কিনে নেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যাংক।