বিপুল মূল্যে মুশফিকের ব্যাট কিনলেন আফ্রিদি

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ হয়েছে মুশফিকুর রহিমের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটের নিলাম। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১৭ লাখ টাকায় ঐতিহাসিক এই ব্যাটটি কিনে নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
মূলত নিজের দাতব্য সংস্থার জন্য ২০ হাজার ডলারে ব্যাটটি কিনতে রাজি হন আফ্রিদি। নিলাম আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিকাবুর প্রধান নির্বাহী মরিন তালুকদার একটি ইংরেজি দৈনিককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এরই মধ্যে।
তিনি বলেন, 'আমরা শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে একটি ই-মেইল পেয়েছি। তারা নিশ্চিত করেছে যে ব্যাটটি তারা ২০ হাজার ডলার (বাংলাদেশী ১৭ লাখ টাকা) কিনবে।'

২০১৩ সালে গল টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ইতিহাস রচনা করা সেই প্রিয় ব্যাটটিই করোনা দুর্গতদের সাহায্যার্থে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
নিবকো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পিকাবু ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাধ্যমে অনলাইনে নিলামে উঠানো হয় মুশফিকের ব্যাটটি। যার ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ৬ লাখ টাকা। কিন্তু শুরু থেকেই পিকাবুর ওয়েবসাইটে ভুয়া বিডারদের আনাগোনা দেখা যায়।
ভুয়া বিডিংয়ের কারণে কিছুটা সময়ের জন্য নিলাম স্থগিত রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পিকাবু। এরপর তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে পুনরায় নিলাম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের ক্রিকেট সরঞ্জাম বিক্রি করেছেন সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ এবং সৌম্য সরকার। সাকিবের বিশ্বকাপের ব্যাটটি ২০ লাখ টাকায় কিনে নেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশী।
অপরদিকে তাসকিনের প্রথম হ্যাট্রিক করা বলটি এবং সৌম্যর প্রথম সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি বিক্রি হয় সাড়ে আট লাখ টাকায়। ব্যাট ও বল দুটিই কিনে নেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যাংক।