জিম্বাবুয়ের প্রস্তুতি ম্লান করলেন আল আমিন-তামিম
ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাভারের বিকেএসপিতে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন সাত উইকেটে ২৯১ রান স্কোরবোর্ডে তুলে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন আর ব্যাটিংয়ে নামেনি ক্রেইগ আরভিনের দল। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বিসিবি একাদশ করেছে পাঁচ উইকেটে ২৮৮ রান। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়র ও তানজিদ হাসান তামিম। এই দুজনের সেঞ্চুরিতে বোলিং প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়ে গেল জিম্বাবুয়ের। অনুমিতভাবেই ম্যাচটি ড্র হয়েছে।
প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংসের সূচনা করেন নাঈম শেখ। শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষ বোলারকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন এই ওপেনার। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন নাঈম। কিন্তু কার্ল মাম্বার বাউন্সারে সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হন তিনি।
১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নাঈম। খানিক পর এক রানে অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। দ্রুত ২ উইকেট হারানো বিসিবিকে আরও বিপদে ফেলেন শাহাদাত হোসেন দিপু।

২২ বলে ৫ রান করে এনলভুর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়র এবং ঈমন মিলে দলের পক্ষে হাল ধরার চেষ্টা করেন। বেশীক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি ইমন। ৩৪ রান করে বিদায় নেন তিনি।
তারপর ব্যর্থ হন আকবর আলী। বাংলাদেশের যুব দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এই ইনিংসে করেন এক রান। মুতুমবদজির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৬৯ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পর ইনিংস বাঁচানোর হাল ধরেন আল আমিন ও তামিম।
দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। এরপর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আল আমিনও। তারপরেও তাদের জুটি ভাঙতে পারেনি জিম্বাবুয়ে বোলাররা। সেঞ্চুরি তুলে নেন দুজনই।
তুলনামূলক আগ্রাসী খেলেন তামিম। ৯৯ বলে পাঁচটি ছক্কা ও ১৪টি চারে ১২৫* রান করেন তিনি। আল আমিন করেন ১৪৫ বলে ১৬টি চারে ১০০* রান। হার না মানা জুটিতে দুজনে তোলেন ২১৯ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসঃ ২৯১/৭ (৯০ ওভার) (ইনিংস ঘোষণা)
(কাসুজা ৭০, মুম্বা ৫৪*, মাসভরে ৪৫; শাহাদাত ৩/১৬)
বিসিবি একাদশ প্রথম ইনিংসঃ ২৮৮/৫ (৫৯.৩ ওভার)
(আল আমিন ১০০*, তানজিদ ১২৫*; এনদলভু ২/৫১)