অভিযুক্ত আম্পায়ারদের বাঁচিয়ে দিল বিসিবি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ ওঠা আম্পায়ারদের বাঁচিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। উল্টো আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরণ করার দায়ে ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্সের কোচ, অধিনায়ক এবং খেলোয়াড়দের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
বিসিবির সূত্র থেকে জানা তথ্যমতে, অভিযুক্ত দুই আম্পায়ারের বিপক্ষে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি বোর্ড। রবিবারের শুনানিতে রয়্যাল ক্রিকেটার্সের কোচ, অধিনায়ক এবং খেলোয়াড়রা অভিযোগ মেনে দিলে তাঁদের শাস্তি দেয় বোর্ড।
রয়ালসের ম্যানেজের সাব্বির আহমেদ রুবেল বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। যে কারণে ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। সিসিডিএম অফিসিয়ালসদের দেয়া তথ্যমতে, তিনি দেশে ফিরলে আবারও বিষয়টি নিয়ে বসা হবে।
সিসিডিএম জানায়, `শুনানিতে রয়্যালস কোচ রুবেল উপস্থিত ছিলেন না। সে দেশের বাইরে আছে। ভারত থেকে আসলে আবারও শুনানি করা হবে। তবে দলের অধিনায়ক এবং খেলোয়াড় এখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজেদের দোষ মেনে নিয়েছে। স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে। সেই সঙ্গে শাস্তি মেনে নিয়েছেন তারা`

সিসিডিএম আরও জানায়, `অভিযুক্তদের নিষিদ্ধ করা হতে পারে। এমনকি রুবেলকেও এই শাস্তি দেয়া হতে পারে। যদি সে কোন প্রকার ভুল করে থাকে আর শুনানিতে সেটার প্রমাণ পাওয়া যায়। কারণ তারা স্বীকার করেছে। আমরা চেষ্টা করবো যত অল্পের মধ্যে এই শাস্তি প্রদান করা যায়।`
গেল ১৭ নভেম্বর ফতুল্লায় কামরাঙ্গীর চর স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্স। ম্যাচটি ছিল রেলিগেশনের ভাগ্য নির্ধারণী। কামরাঙ্গীর চর স্পোর্টিং ক্লাবের দেয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ১২৮ রানেই অল আউট হয় ঢাকা রয়্যাল। রান তাড়া করতে নেমে ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্স ৪০ রানে ৫ উইকেট হারালেও ষষ্ঠ উইকেট জুটি তাদের রেখেছিল জয়ের পথে।
এক পর্যায়ে তাদের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১৯। ১৪.৩ ওভার আগে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল মাত্র ৩০ রান। সেখান থেকে ৯ রানের মধ্যে পড়ে যায় তাদের শেষ ৫ উইকেট। ম্যাচ হেরে যায় তারা ২০ রানে। ৩৬ তম ওভারের চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে মোজাম্মেল এবং আব্দুর রহমানকে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ আউট দেন। দুটি আউট নিয়েই ক্লাবটির অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা রয়্যালস ক্রিকেটার্সের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ রুবেল মনে করেছিলেন যারা এই গুরু দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা ক্রিকেটকে ধ্বংস করছেন। ম্যাচ রেফারিকে বলেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তাদের ক্রিকেটারদের পায়ে বল লাগলেই আম্পায়ার আউট দিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ এনে সাব্বির বলেছিলেন, 'দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের প্রস্তুতিই এমন, ওই দলকে বলে দেয়া হয়েছে পায়ে লাগলেই তোমরা আপিল করবে। আমরা আউট দিয়ে দেব। ম্যাচ রেফারি মঞ্জুর ভাইকে বলেছি।
তিনি বলেছেন রিপোর্টে লিখে দেবেন। আমি বলেছি আপনার রিপোর্টটি পাবো কি করে? কতিপয় কয়েকজন অফিশিয়ালের কারণে এই জিনিসগুলো ঘটবে এটা আমাদের খারাপ লাগে। তাঁরা সুযোগ নিচ্ছে ক্রিকেটটাকে ধ্বংস করছে।'
এই ম্যাচের ফিল্ড আম্পায়ার জহিরুল ইসলাম প্রথম বিভাগের দল পূর্বাচল ক্রিকেট ক্লাবের একজন কর্মকর্তা। আরেকজন ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন সাইদুর রহমান। ঘরোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ে যুক্ত হিসেবে যাদের বিপক্ষে অভিযোগ বেশি, তাদের একজন তিনি।