রুমানার গুরুতর চোট, ফেরা হচ্ছে না বিশ্বকাপের আগে

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দীর্ঘ ৫-৬ মাস ধরে হাঁটুর চোট ভোগাচ্ছে রুমানা আহমেদকে। যে কারণে আসন্ন দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ) স্কোয়াডে রাখা হয়নি এই লেগ স্পিনারকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, রুমানার চোট গুরুতর। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মাঠে ফেরা হচ্ছে না তার।
আপাতত রুমানাকে বিশ্রামে থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির এই চিকিৎসক। আগামী ২ মাস সম্পূর্ণ ফিজিও এবং ট্রেইনারদের তত্ত্বাবধায়নে থাকবেন এই লেগ স্পিনার।
খেলা থেকে লম্বা সময়ের জন্য বিরতিতে থাকলে এই চোট সেরে ওঠবে না বলে জানিয়েছেন দেবাশীষ চৌধুরী। তবে নিয়ম মোতাবেক চললে বিশ্বকাপের আগে এই লেগ স্পিনারের ফিট হয়ে ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, `রোমানার একটা হাটুর সমস্যা গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে আছে। আমরা চেষ্টা করছি এটাকে ম্যানেজ করার। ওর প্যাচেলার টেন্ডেনে একটা সমস্যা আছে। এই ধরণের সমস্যায় দেখা যায় কয়েক মাস লেগে যায়। ওর ব্যাপারে সমস্যা হচ্ছে যে আমরা ওকে টানা বিশ্রামে রাখতে পারছি না। মাঝে মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে ওকে অংশ নিতে হয়েছে। তো এখন আমরা ওকে আগামী বিশ্বকাপের আগে কোন ম্যাচ বা টুর্নামেন্টে অংশ নিতে দিব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।`
`আগামী ২ মাস সম্পূর্ণ ফিজিও এবং ট্রেইনারদের তত্ত্বাবধায়নে থাকবে। এভাবে যদি ওকে আমরা ম্যানেজ করতে পারি খেলার বাইরে রেখে রিহ্যাব করাতে তাহলে ফলাফলটা আরেটু ভালো হত। গেল এক মাস ধরে সে রেস্টে আছে, আরও এক দেড় মাস সে খেলার বাইরে থাকবে। আশা করছি এভাবে করলে ফেব্রুয়ারির আগে সে পুরোপুরি ফিট হয়ে যাবে।` দেবাশীষ চৌধুরী আরও যোগ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরি ভোগাচ্ছে রুমানাকে। হাঁটুর ইনজুরির কারণে আগস্টে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে পারেননি। পাকিস্তান সফরে দলে ছিলেন। কিন্তু এসএ গেমস থেকে আবার ছিটকে গেছেন আবার।
বৃহস্পতিবার এসএ গেমসের জন্য মেয়েদের টি ২০ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। সালমা খাতুনের নেতৃত্বে জাতীয় দলই নেপালে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। সাত দলের আসরে বাংলাদেশ ‘বি’-গ্রুপে খেলবে পাকিস্তান ও মালদ্বীপের বিপক্ষে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ ডিসেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে, ৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সঙ্গে।
বাংলাদেশ দল : সালমা খাতুন (অধিনায়ক), নিগার সুলতানা (উইকেটরক্ষক), জাহানারা আলম, আয়েশা রহমান, ফারজানা হক, মুর্শিদা খাতুন, সানজিদা ইসলাম, শবনম মোস্তারি, ফাহিমা খাতুন, শামিমা সুলতানা, নাহিদা আক্তার, খাদিজতুল কুবরা, রিতু মনি, পূজা চক্রবর্তী ও রাবেয়া।
স্ট্যান্ডবাই : মিমতা হেনা হাসনাত, ফারিহা ইসলাম, সুরাইয়া আজমিম, পান্না ঘোষ ও শায়লা শারমিন।