আরেকটি ফাইনাল, আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ইমার্জিং এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গেছে বাংলাদেশের। শনিবার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৭ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া ৩০২ রানের লক্ষ্যে মাত্র ২২৪ রানে আল আউট হয় ইমার্জিং দল।
গেল দুই আসরে সেমিফাইনাল থেকে বাড়ি ফিরেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ আসরে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে শান্তবাহিনী। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় রানার্স আপের শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরতে হল বাংলাদেশকে।
ফাইনালে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৩০২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান। ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ এবং সৌম্য সরকার। কিন্তু ৭ বলে ১৫ রান করার পর দলীয় ২৩ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন সৌম্য।

সঙ্গী হারালেও নাঈম শেখ এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করেন। কিন্তু মোহাম্মদ হাসনাইনকে পুল করতে গিয়ে ১৬ রানে ইমরান রফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাঈম।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শান্ত এবং ইয়াসির রাব্বি। নিজেদের মধ্যে ৫০ রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি দলকে ১০০ রানের দিকে নিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু দলীয় ৯২ রানে রাব্বিকে বিদায় করে পাকিস্তানকে ব্রেকথ্রু এনে দেন আহমাদ বাট।
৩১ বলে ২২ রান করে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই ব্যাটসম্যান। খানিক পর ৪৬ রান করা শান্ত বিদায় নেন খুশদিল শাহর বলে। শান্ত ফিরে যাওয়ার পর জাকির হাসানকে ৯ রানে বিদায় করেন উমের খান। খুশদিল শাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন অঙ্কনও।
এক প্রান্তে একাই লড়াই চালাতে থাকেন আফিফ হোসেন। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসানকে সঙ্গ নিয়ে ৪৮ রান যোগ করেন তিনি। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনকে আপার কাট খেলতে গিয়ে শামিন গুলের অসাধারণ ক্যাচে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার।
আফিফ ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের পরাজয়টা ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার। মেহেদী নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই চালালেও সাইফ বাদরের বলে এল্বিডাব্লিউ হন সুমন খান। এরপর বাদরকে ইনসাইড আউট খেলতে গিয়ে ইউসুফের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন মেহেদী।
৪৫ বলে ৪২ রান করে ডাগ আউটে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে হাসান মাহমুদকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসান হাসনাইন। ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৭৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাকিস্তানঃ ৫০ ওভারে ৩০১/৬ (নাজির ১১৩; সুমন খান ৩/৭৫)।
বাংলাদেশঃ ৪৩.৩ ওভারে ২২৪/১০ (আফিফ ৪৯, শান্ত ৪৬; হাসনাইন ৩/৩২)।