দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সাকিব আল হাসানকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশের এই টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ৩টি ধারা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনটি ধারাতেই বলা হয়েছে সাকিব ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব সংক্রান্ত তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
চার মাসে তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসিকে জানাননি কিছু সাকিব। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না তিনি।

প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে কোনো আইন ভঙ্গ করলে পরবর্তী এক বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। দ্বিতীয় এক বছর ক্রিকেট খেলতে পারলেও আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিতে হবে তাকে।
এ সময় একই ধরনের ভুল করলে পরের বছরও পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা ২৯ অক্টোবর ২০১৯ থেকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
২০১৮ সালে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১৮ আইপিএলে জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) কাছে জানাননি সাকিব।
এছাড়া, ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজেই সাকিবের সঙ্গে দ্বিতীয়বার জুয়াড়িরা সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই বিষয়েও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে কিছু জানাননি সাকিব।
২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগেও সাকিবকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল জুয়াড়িরা। এই তথ্যও গোপন করায় তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে।