পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই যুবাদের

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের পাকিস্তান সফর এখনও নিশ্চিত হয়নি। ২১ অক্টোবর পাকিস্তানের বিমান ধরার কথা থাকলেও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল সবুজ সংকেত দেয়নি। যদিও রবিবারের (২০ অক্টোবর) মধ্যে বিসিবির কাছে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা রয়েছে তাদের।
সব কিছু ঠিক থাকলে ২১ অক্টোবর পাকিস্তানের বিমান ধরবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। সেখানে ৩টি ওয়ানডে এবং ২টি তিন দিনের ম্যাচে লড়বে যুবারা। সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।

সফর নিশ্চিত না হলেও মাঠের লড়াইয়ের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ক্রিকেটাররা। দলের কোচ মিনাজুর রহমান বাবুল রবিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন। এমনকি ছেলেদের পাকিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো কিছু বোঝানোর প্রয়োজন পড়েনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েই সেখানে যাচ্ছে খেলোয়াড়রা। কোথায় খেলা হচ্ছে সেটা নিয়ে কেউ চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একটা কথা যেটা- এই দেশ এ রকম, ঐ দেশ ওই রকম এসব কথা তাদেরকে বোঝানোর প্রয়োজন পড়ে নাই। আমার কাছে ওদের দেখেই মনে হয়েছে যে তারা খেলার জন্য এসেছে।’
‘আলাদা ওই রকমভাবে বোঝানোর প্রয়োজন পড়েনি। খুবই ভালো বিষয় এটা যে তারা খেলা নিয়েই আছে, অন্য কিছু নিয়ে না। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে বাচ্চারা ওটা নিয়ে (পাকিস্তানে খেলা নিয়ে) চিন্তিত না। তাদের মাথায় এই দুশ্চিন্তা আমি দেখি না। তারা খেলতে যাচ্ছে, ভালো খেলবে এরকমই তাদের প্রস্তুতি। ওটা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথাই নেই।’
২০০৯ সালে শ্রীলংকার টিম বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘদিন পাকিস্তান সফরে যায়নি ক্রিকেট খেলুড়ে কোনো দেশ। সেই শ্রীলংকাই কদিন আগে পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে। ২০১৭ সালেও সেখানে গিয়েছিল তারা। এর মাঝে বিশ্ব একাদশ এবং জিম্বাবুয়ে পাকিস্তান সফর করেছে।
ক্রিকেট খেলার জন্য পাকিস্তান যে নিরাপদ, সেটা প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ২০২০ সালের শুরুর দিকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সেখানে ৩টি টি-টোয়েন্টি এবং ২টি টেস্ট খেলার কথা সাকিব আল হাসানের দলের।