সাকিব টেস্ট অধিনায়ক থাকছেন তো?

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বৃহস্পতিবার ভারত সফরের জন্য টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের নেতৃত্ব ভার সাকিব আল হাসানের কাঁধেই রেখেছে বোর্ড। যদিও টেস্ট সিরিজের অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
অধিনায়কত্বে মন নেই সাকিবের, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বলেছেন তিনি। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় দফায় তাঁর কাঁধে ওঠে নেতৃত্বের দায়িত্ব। দুই বছর দলকে নেতৃত্ব দেয়া সাকিব জানান, অধিনায়কত্ব করতে এখন মানসিকভাবে প্রস্তুত নন তিনি।
সাকিবের এমন বক্তব্যের সূত্র ধরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই জানিয়েছেন, দ্রুত সাকিবের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন তাঁরা। পাপন বলেন, 'আমাদের জানতে হবে সে কী চিন্তা করছে বিষয়টি নিয়ে। সে অধিনায়কত্ব করতে চাইছে কিনা। কারণ এখন পর্যন্ত অনেক কিছুই শুনছি। যেগুলো শুনেছি সবই গণমাধ্যম থেকে। আমরা দ্রুত ওর সঙ্গে বসবো এবং বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলাপ করবো।'
মাস দেড়েক আগে শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ‘টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য মানসিকভাবে আমি প্রস্তুত নই। তবে দলটা এখন ভালো অবস্থায় নেই। নিজেও বুঝতে পারছি, দলটাকে মোটামুটি একটা অবস্থায় আনতে আমি অধিনায়ক হলে ভালো।’

‘নয়তো কোনো সংস্করণেই অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারে আমি তেমন আগ্রহ পাচ্ছি না। অধিনায়কত্ব না করলে বরং নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে পারব। সেটাও দলের কাজে লাগবে।’ যোগ করেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার।
সাকিবই চেয়েছিলেন নেতৃত্বে নতুন কেউ আসুক। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া উচিত বলেও জানিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেছিলেন, ‘আমি চাই নতুনদের ওপর দায়িত্ব আসুক। আমরা তো ২০-২২ বছর বয়সে অধিনায়কত্ব নিয়েছি। এখন ওদের বয়স ২৬-২৭ হয়ে গেছে। যতক্ষণ না দায়িত্ব দেবেন, আপনি তো জানবেন না ওদের মধ্যে কিছু আছে কিনা।’
‘২২ বছর বয়সে আমাকে যখন অধিনায়ক করা হয়েছিল, কেউ কি জানতো আমার মধ্যে কি আছে বা নেই? সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আগামী ৪ বছর নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা করা উচিত।’
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান অবশ্য জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে এখনও তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি সাকিব। আনুষ্ঠানিকভাবে বলার পর বিষয়টি নিয়ে ভাববে বিসিবি।
বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই, সেটা হলো কে কোন কথা কোথায় বলেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি ক্রিকেট বোর্ড বা অপারেশন্স কমিটির কাছে ব্যাপারটা আসে, তখন সেটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করব।’
‘আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিক বা সাকিব নিজ মুখে কিছু বলেনি যে সে ইচ্ছুক নয়। যখনই সে বলবে, তখন সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব, এটা নিয়ে চিন্তা করব।’