এক বিশ্বকাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরেক বিশ্বকাপে!

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০২০ এবং ২০২১ সালে পর পর অনুষ্ঠিত হবে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথমটির আয়োজক অস্ট্রেলিয়া, পরেরটা হবে ভারতে। বাংলাদেশের চোখ এখনই ২০২১ সালের বিশ্বকাপে। যে কারণে ২০২০ সালের বিশ্বকাপকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মঞ্চ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
উপমহাদেশের মধ্যে হওয়ায় ভারতের অনুষ্ঠেয় ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তারা। এখন থেকেই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দল তৈরির প্রক্রিয়ায় নেমে পড়েছে বিসিবি।
২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত এক পরিকল্পনায় এগোনো হয়েছে। কিন্তু এবার ভিন্ন পরিকল্পনা সাজাতে চান তারা। যে পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ পরিসরে সলফলতা আসবে বলে আশাবাদী নাজমুল হাসান।

বৃহস্পতিবার পাপন বলেন, 'নতুন খেলোয়াড়ের সন্ধানে নেমেছি। অনেক পরীক্ষা-নিরিক্ষা হবে, এতোদিন শুধু জেতার জন্য খেলেছি, জিত্তেই হবে এমন মানসিকতায়। এখন কিন্তু আমরা পরীক্ষা করব। ইতোমধ্যে কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষা দেখেছেন। অনেক কিছু হচ্ছে, হবে; তাতে সাময়িকভাবে মনে হবে এটা কেন হচ্ছে, এটা কেন করছি। কিন্তু সব কিছুই আমাদের দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করে করা হচ্ছে।
২০২০ পর্যন্ত বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, কিন্তু ২০২১ এ গিয়ে আমরা যে টিমটা বানাব সেটা ২০২৩ সালের বিসস্কাপ খেলার জন্য একটা সলিড টিম বানাতে চাচ্ছি। এখানে যেন কারো কোনো চিন্তা ভাবনা না থাকে কি হচ্ছে না হচ্ছে, এটা হলে ভালো হত। যা করার এখনই করে ফেলব। আমরা একটু লংতার্ম চিন্তা করে কাজগুলো করছি।'
২০২১ বিশ্বকাপে ভালো করতে ক্রিকেটারদের ফিটনেস এবং ফিল্ডিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দেয়া হবে। এ কারণে সাপোর্ট স্টাফদের সকলের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান বিসিবি সভাপতি। যদিও এই পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় অনেক বাধা আসবে বলে মনে করছেন নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমরা ডমিঙ্গোর কাছে জানতে চেয়েছিয়াম বাংলাদেশের ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে না কেন? তার দেয়া প্রথম পরামর্শ ছিল ফিল্ডিং এবং ফিটনেস। মৌলিক কিছু নেই, দলের মধ্যে ১০-১৫টা ছেলে পাঠালে তারা নাকি ফিল্ডিংয়ের মৌলিক বিষয়গুলোই জানে না, ৪-৫জন আছে থ্রো কীভাবে করতে হয় সেটা জানে না।’
‘এগুলা যদি জাতীয় দলে এসে বিশ্বকাপের মঞ্চে শেখাতে হয়, তাহলে তো হবে না। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি, সাপোর্ট স্টাফদের দেয়া প্রত্যেকটি পরামর্শ নিয়েই কাজ করছি আমরা। এতে অনেক বাধা আসবে, তবে আমার ধারণা দীর্ঘ পরিসরে চিন্তা করলে এটাই সবচেয়ে ভালো।'