অধিনায়ক সাকিবের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্ব ইস্যুতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বৈঠকে বসতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবির একটি বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।
আসন্ন ভারত সফরকে সামনে রেখে নির্বাচকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বিসিবি সভাপতির। সেখানে আসন্ন সিরিজের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
শোনা গেছে, এই বৈঠকে অধিনায়ক সাকিবের ভবিষ্যত নিয়েও আলাপ-আলোচনা হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে বিসিবি বেশ কয়েকজন পরিচালক উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় দফায় তাঁর কাঁধে ওঠে এই দায়িত্ব। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে বেশ কয়েকবার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, অধিনায়কত্বে মন নেই তাঁর। অধিনায়কত্ব করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নন তিনি।

মাস দেড়েক আগে শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ‘টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য মানসিকভাবে আমি প্রস্তুত নই। তবে দলটা এখন ভালো অবস্থায় নেই। নিজেও বুঝতে পারছি, দলটাকে মোটামুটি একটা অবস্থায় আনতে আমি অধিনায়ক হলে ভালো।’
‘নয়তো কোনো সংস্করণেই অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারে আমি তেমন আগ্রহ পাচ্ছি না। অধিনায়কত্ব না করলে বরং নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে পারব। সেটাও দলের কাজে লাগবে।’
সাকিবই চেয়েছিলেন নেতৃত্বে নতুন কেউ আসুক। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া উচিত বলেও জানিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেছিলেন, ‘আমি চাই নতুনদের ওপর দায়িত্ব আসুক। আমরা তো ২০-২২ বছর বয়সে অধিনায়কত্ব নিয়েছি। এখন ওদের বয়স ২৬-২৭ হয়ে গেছে। যতক্ষণ না দায়িত্ব দেবেন, আপনি তো জানবেন না ওদের মধ্যে কিছু আছে কিনা।’
‘২২ বছর বয়সে আমাকে যখন অধিনায়ক করা হয়েছিল, কেউ কি জানতো আমার মধ্যে কি আছে বা নেই? সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আগামী ৪ বছর নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা করা উচিত।’
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান অবশ্য জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে এখনও তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি সাকিব। আনুষ্ঠানিকভাবে বলার পর বিষয়টি নিয়ে ভাববে বিসিবি।
বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই, সেটা হলো কে কোন কথা কোথায় বলেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি ক্রিকেট বোর্ড বা অপারেশন্স কমিটির কাছে ব্যাপারটা আসে, তখন সেটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করব।’
‘আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিক বা সাকিব নিজ মুখে কিছু বলেনি যে সে ইচ্ছুক নয়। যখনই সে বলবে, তখন সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব, এটা নিয়ে চিন্তা করব।’