পিছিয়ে থেকেও মিঠুনদের সিরিজ জয়

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ 'এ' দল। আলোক স্বল্পতায় কারণে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৯৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মোহাম্মদ মিঠুন, এনামুল হক বিজয়রা।
এই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ 'এ' দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়ে সফরকারীরা। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচ টানা জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে মিঠুনের দল।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাটিং করে সাইফ হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকদের ৩২৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় সম্পূর্ণ ওভার খেলা না হলেও ম্যাচের নাটাই বাংলাদেশের হাতেই ছিল।
লক্ষ্য তাড়ার ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ২৪.৪ ওভারেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন এবং পেসার আবু হায়দার রনি।
মাঝে কামিন্দু মেন্ডিস এবং আশান প্রিয়াঞ্জানের ৬৪ রানের জুটি বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয় দাঁড়ায়। এই জুটি ভাঙেন সাইফ হাসান। ৩৪ রান করা প্রিয়াঞ্জানকে ফিরিয়েছেন তিনি। এরপর ৫৫ রান করা কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান এবাদত হোসেন। এরপর আরও দুই উইকেট তুলে নেন এই দুইজন।

২৫তম ওভার চলাকালীন আলোক স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ বাদে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে যায়। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফ এবং এবাদত। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আফিফ এবং রনি।
এর আগে সাইফ হাসানের নজরকাড়া শতরানের ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে বিশাল পুঁজি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ৩২২ রান সংগ্রহ করে মিঠুনরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ এবং সাইফ হাসান। ১২০ রানের জুটি গড়েন এই তাঁরা। দারুণ ব্যাটিং করে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম শেখ। কিন্তু নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি নাঈম। অবস্ট্রাক্ট ইন দ্য ফিল্ড (রান নেয়ার সময় বাধার শিকার) হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে দারুণ ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে।
৬৬ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি। ৭৬ বলের ইনিংসে ৫ চার এবং ২ ছক্কা মারেন তিনি। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করে যান আরেক ওপেনার সাইফ।
নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয় ব্যর্থ হলে দলের হাল ধরতে সাইফকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৯৯ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। এই জুটি গড়ার পথে সেঞ্চুরি তুলে নেন সাইফ।
১১০ বলে ১২ চার ও ৩টি ছক্কায় ১১৭ রানের ইনিংস খেলা সাইফের বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন মিঠুনও। ডানহাতি মিঠুন খেলেন ৩২ রানের ইনিংস। শেষের দিকে সানজামুল ইসলাম, নুরুল হাসান সোহানদের ছোট ছোট ইনিংসে ৩২২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন শিরান ফার্নান্দো। তিনটি উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো। এ ছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন আমিলা আপোনসো।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ ‘এ’ দলঃ ৫০ ওভারে, ৩২২/৯ (সাইফ ১১৭, নাঈম ৬৬; শিরান ফার্নান্দো ৪/৫০, বিশ্ব ফার্নান্দো ৩/৬৯)।
শ্রীলঙ্কা 'এ' দলঃ ২৪.৪ ওভারে ১৩৬/৬, (কামিন্দু ৫৫, প্রিয়াঞ্জান ৩৪; এবাদত ২/২৬, সাইফ ২/২৫)।