|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
 
জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের বাধ্যতামূলক বিপ টেস্টের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদিও বিপ টেস্টের তেমন কোনও গুরুত্ব দেখছেন না নাসির হোসেন, আরাফাত সানির মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার। 

জাতীয় লিগ শুরুর আগে একদফা বিপ টেস্ট দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত ক্রিকেটাররা। ম্যাচের ফিটনেস আর বিপ টেস্টকে পুরোই আলাদাভাবে দেখছেন নাসির-আরাফাতরা। কিন্তু বাশারের মতে, ফিটনেস যাচাইয়ে বিপ টেস্টই সঠিক পদ্ধতি এবং ম্যাচেও প্রভাব ফেলবে বিপ টেস্ট।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাশার বলেন, 'ম্যাচ ফিটনেস আর বিপ টেস্টের মধ্যে পার্থক্য অবশ্যই আছে। তবে আপনি যদি বিপ টেস্টে ফিট না থাকেন তাহলে আসলে ১-২ ম্যাচ পর হলেও আপনার ফিটনেস কমে যাবে।'
 
এর আগে বিপ টেস্টকে তেমন গুরুত্ব দেননি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার নাসির। তাঁর মতে, বিপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়া ক্রিকেটাররাও মাঠে নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে সক্ষম।  

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নাসির বলেছিলেন, 'বিপ টেস্ট এমন একটি টেস্ট, যেখানে অনেকে ১২-১৩ কিংবা ১৪ পর্যন্তও পায়। কিন্তু তাদের ম্যাচ ফিটনেস তেমন থাকে না। দেখা যাচ্ছে যারা ৮, ১০ কিংবা ১১ পায় তারা, ম্যাচে অনেক ফিট থাকে। তাই আমার কাছে মনে হয় বিপ টেস্ট শুধুমাত্র একটি পরীক্ষা। এখানে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার লেভেলটা কোথায় ফিটনেসের দিক থেকে।

ফিটনেস তো আরো অনেকভাবেই করা যায়। ১১ দিলে যে খেলা যাবে, না হলে যে খেলা যাবে না এমন কিছু নয়। অনেক খেলোয়াড় আছে যারা আমার চেয়ে বেশি দৌড়ায় এবং বিপ টেস্টে তারা ভালো। তবে দেখা যাচ্ছে যে ম্যাচে আমি তাদের চেয়ে বেশি ফিট।'

এ ছাড়া গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে আরাফাত বলেছিলেন, 'আসলে ফিটনেস লেভেল একটি ব্যতিক্রমী জিনিস। অনেকে ফিট, হয়তো একটু অলস। অনেকে আবার ফিট, তাদের আবার গতি ভালো না। দুইটা কিন্তু দুইরকম জিনিস। তো এটা কিন্তু সেভাবে কাজ করে না।'