নাসিরের সঙ্গে একমত আরাফাত সানি

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক বিপ টেস্টের ব্যবস্থা করেছে তারা। যদিও নাসির হোসেনের মতো আরাফাত সানিও বিপ টেস্টের তেমন কোনও গুরুত্ব দেখছেন না।
শনিবার গণমাধ্যমকে আরাফাত বলেন, 'আসলে ফিটনেস লেভেল একটি ব্যতিক্রমী জিনিস। অনেকে ফিট, হয়তো একটু অলস। অনেকে আবার ফিট, তাদের আবার গতি ভালো না। দুইটা কিন্তু দুইরকম জিনিস। তো এটা কিন্তু সেভাবে কাজ করে না।
আমাদের এনসিএল এখনো শুরু হয়নি। তবুও সবাই নিজের কাজ ভালোভাবে করছে। আমাদের শেষ যে গড় ছিল, আমার মনে হয় দশের উপরে ছিল। তো আমাদের ফিটনেস এখন অনেক ভালো আছে। ইনশাল??লাহ আমাদের দলের সবার ফিটনেস ভালো আছে।'
এর আগে বিপ টেস্টকে তেমন গুরুত্ব দেননি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। তাঁর মতে, বিপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়া ক্রিকেটাররাও মাঠে নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে সক্ষম।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নাসির বলেছিলেন, 'বিপ টেস্ট এমন একটি টেস্ট, যেখানে অনেকে ১২-১৩ কিংবা ১৪ পর্যন্তও পায়। কিন্তু তাদের ম্যাচ ফিটনেস তেমন থাকে না। দেখা যাচ্ছে যারা ৮, ১০ কিংবা ১১ পায় তারা, ম্যাচে অনেক ফিট থাকে। তাই আমার কাছে মনে হয় বিপ টেস্ট শুধুমাত্র একটি পরীক্ষা। এখানে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার লেভেলটা কোথায় ফিটনেসের দিক থেকে।
ফিটনেস তো আরো অনেকভাবেই করা যায়। ১১ দিলে যে খেলা যাবে, না হলে যে খেলা যাবে না এমন কিছু নয়। অনেক খেলোয়াড় আছে যারা আমার চেয়ে বেশি দৌড়ায় এবং বিপ টেস্টে তারা ভালো। তবে দেখা যাচ্ছে যে ম্যাচে আমি তাদের চেয়ে বেশি ফিট।'
বিপ টেস্টের পয়েন্টের চেয়ে মূল ম্যাচের ফিটনেসই বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাসিরের কাছে। এ কারণে বিপ টেস্টকে ফিটনেস যাচাইয়ের মাধ্যম হিসেবে দেখতে নারাজ তিনি।
নাসির আরও বলেছিলেন, 'ফিটনেস জিনিসটি আসলে আলাদা। যেমন আমি জাতীয় লিগের কথা বলি। আমি এমন অনেক বোলারকে দেখেছি, যারা বিপ টেস্টে ৭, ৮ দিয়েছে। কিন্তু তারা টানা ১৫, ১৬ ওভার বোলিং করে গেছে জাতীয় লিগে। বিপ টেস্ট শুধু একটি টেস্ট আর ম্যাচ ফিটনেস আলাদা জিনিস।'
অবশ্য বিপ টেস্টকে একেবারেই গুরুত্বহীন মনে করছেন না আরাফাত। এক সময়ে জাতীয় দলের নিয়মিত এই স্পিনার আরও বলেন, 'ফিটনেস টেস্টে ১১ দিলে যে খুব ভালো, ১১ না দিলে যে খুব খারাপ সেটা না। কিন্তু ম্যাচ ফিটনেস এক রকম, আবার ফিট থাকা আরেক রকম।
তবে হ্যাঁ, ফিট থাকলে মাঠের পারফরম্যান্স বা ফিল্ডিংয়ে খুব কাজে লাগে। এটা তেমন কিছুই না, কিন্তু বেশি চিন্তা করলে এটা অনেককিছু।'