promotional_ad

মাফ কইরা দেন, সাকিব ভাই তো ভালোই কইলোঃ সাকিব ভক্ত

ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| সিনিয়র ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ||


ফয়সাল আহমেদ, বয়স ২২। থাকেন চট্টগ্রামের এনায়েত বাজারে। তিনি যার অন্ধভক্ত, বাংলাদেশের সেই ক্রিকেটারের ডাক নামও ফয়সাল। হ্যাঁ, সাকিব আল হাসানের ভক্তের কথা বলা হচ্ছে। যিনি শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই সবার মনোযোগ করে নিলেন। কিছুক্ষণের জন্য জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সবার নজর আটকে থাকল পাগলাটে এই ভক্তের কাণ্ডে।  


বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের ১০৭তম ওভারের খেলা চলছিল। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আরেকটু পরই একটি ডেলিভারি ছুড়বেন। এমন সময় পূর্ব গ্যালারি থেকে লাফিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন ফয়সাল। এক দৌড়ে সোজা সাকিবের কাছে। স্যালুট দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে সাকিবকে গোলাপ নিবেদন করে বসেন তিনি।


ব্যাপারটি যে সাকিবের কাছে মোটেও উপভোগ করার মতো ছিল না, সেটা তাঁর শারীরিক ভাষাই বলে দিচ্ছি। ফয়সালকে মাঠে ঢুকতে দেখেই আম্পায়ারের কাছে গিয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশ অধিনায়ক। পাগলাটে ভক্ত হাঁটু গেড়ে বসে প্রপোজ স্টাইলে ফুল নিবেদন করলেও সাকিব তা নিতে চাননি। কিন্তু এমন অবস্থার মধ্যে বেশি সময় না থাকতেই হয়তো সিদ্ধান্ত পাল্টে ভক্তের ভালোবাসা গ্রহণ করে নেন সাকিব।



promotional_ad

এই পর্যন্তই ভক্ত, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা বা পাগলামির ব্যাপারগুলো মাঠে স্থান পেয়েছে। পরের পর্বে যা হয়েছে, এতোটা নিশ্চয়ই ভাবেননি ফয়সাল। ভাবলে ভালোবাসা জানাতে মাঠের মধ্যে এভাবে ছুটে যেতেন না তিনি। কারণ ফুল দেয়ার পর নিরপত্তাকর্মীদের হাতে আটকা পড়া ফয়সালের সঙ্গে যা হয়ে???ে, সেটা আগে বুঝতে পারলে এমন কাজ করার কথা কল্পনাতেও ভাবতেন না তিনি।


মাঠ থেকে টেনে হিচড়ে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঠের একপাশ দিয়ে ফয়সালকে নিয়ে যাওয়ার সময়ই চলতে থাকে চড়-থাপ্পর। একটু আড়াল হওয়ার পর চড়-থাপ্পড়ে থাকেনি নিরাপত্তাকর্মীদের শাসন। সেটা রূপ নেয় উত্তম-মাধ্যমে। থানায় নেয়ার পর শাস্তির রূপটা আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে।


নিজের ভবিষ্যত বুঝতে পারা ফয়সাল তাই নিজের ভুল স্বীকার করে নিতে দেরি করেননি। যদিও সাকিবের কাছ থেকে পাওয়া ব্যবহারে ফয়সালের মনে হয়নি তিনি ভুল করেছেন। টেনে হিচড়ে যখন পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল, ফয়সাল তখন বলছিলেন, ‘আমাকে মাফ কইরা দেন। আমি ভুল করছি। সাকিব ভাই তো ভালোই কইলো।’ সাকিবের বলা ভালোই যে ভালো নয়, সেটা বুঝতে সমস্যা হয়নি ফয়সালের। তাই তো বারবার বলছিলেন, ‘আমার ভুল হইছে। আমারে ছাইড়া দেন। আমি আর এমন করব না।’


স্টেডিয়ামের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এএএম হুমায়ুন কবির বলছিলেন, ‘ছেলেটাকে ছেড়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কোনো মামলা করলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর পুলিশের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা ভাঙার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে। তাকে আদালতে তোলা হবে।’



জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে ফয়সাল নামের এই সাকিবভক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়তলি থানায়। তখনই একটা প্রাথমিক ডায়েরি করা হয় তার বিরুদ্ধে। কিন্তু এই পর্যন্তই থাকেনি। এই অবস্থা যেন আর না হয়, সেটার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে এই ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছে বিসিবি। এমন ব্যবস্থা আর কারো বিরুদ্ধেই আগে নিতে দেখা যায়নি।


বিসিবি যখন রূদ্রমূর্তিতে যাওয়ার অবস্থায়, তখন অবশ্য প্রশ্ন উঠছে তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে। ঘটনাটি যে নিরাপত্তহীনতার কারণে ঘটেছে, সেটা এড়িয়ে যাবার কোনো রাস্তা নেই বিসিবির সামনে।


তাই তো বিসিবির নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হোসেন ইমাম দায় স্বীকার করে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, মাঠের ভেতরের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। না হলে মাঠে ঢুকে পড়লো কীভাবে তাই না?’ যদিও বিশাল দায়িত্ব থেকে এমন পাল্টা প্রশ্ন তিনি করতে পারেন কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন!
 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball