সাজেশন এক, প্রশ্ন আরেক!
ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি স্পিন আক্রমণ। বিশেষ করে টেস্টে কেবল স্পিনারদের ওপরই ভরসা করে বাংলাদেশ। এই স্পিন আক্রমণ দিয়েই টেস্টে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলকে কাবু করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামদের নিয়ে গড়া স্পিন আক্রমণে ভরসা রাখবে বাংলাদেশ, তা বলাই বাহুল্য।
যদিও সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের শক্তির জায়গাটা আফগানদের কাছ থেকে কিছুটা লুকিয়েই রেখেছে বাংলাদেশ। রবিবার বিসিবি একাদশের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নেমেছে আফগানরা।
আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে স্পিন আক্রমণকে প্রধান অস্ত্র হিসেবে পরিকল্পনায় রাখা হলেও এই ম্যাচে বিসিবি একাদশে খেলানো হচ্ছে চার পেসার!

মেহেদী হাসান রানা, মানিক খান, সালাউদ্দিন শাকিল ও সুমন খান- এই চার পেসারই বেশিরভাগ সময়ে বোলিং করেছেন। প্রতিপক্ষকে ধাঁধায় ফেলতেই বাংলাদেশের এমন কৌশল। যদিও বিসিবি একাদশের পেসাররা সফল হতে পারেননি।
বিসিবি একাদশে স্পিন আক্রমণে আছেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন এবং আল আমিন হোসেন জুনিয়র। পেসাররা ভীতি ছড়াতে না পারলেও আল আমিন একাই আফগানিস্তানের ইনিংসে ধ্বস নামিয়েছেন।
প্রথম দিন স্পিন আক্রমণকে শুরুতে দূরেই সরিয়ে রেখেছিলেন বিসিবি একাদশের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তিনি সপ্তম বোলার হিসেবে আক্রমণে আনেন আল আমিনকে।
এরপর আফগানিস্তানের চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান ডানহাতি এই অফ স্পিনার। এতেই বোঝা গেছে, বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে কতটা ভুগতে হবে আফগানিস্তানকে।
পেস বোলারদের ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ যে পরিকল্পনা করেছে, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে মূল ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনাররা জ্বলে উঠলেই। ফলে বোঝা যাচ্ছে একরকম সাজেশন নিয়ে ভিন্ন প্রশ্ন পত্র নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।