স্মিথের রেকর্ডের দিনে আলো কাড়লেন বোলাররা

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দিনটি হতে পারতো শুধুই স্টিভেন স্মিথের। তাঁর লড়াকু ব্যাটিংয়েই ইংল্যান্ডের দেয়া ২৫৮ রানের জবাবে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫০। তবে প্যাট কামিন্স আর পিটার সিডল দিনটি শুধু স্মিথের হতে দেননি। ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাঁরাও।
চতুর্থ দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান। ১০৪ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের হয়ে বেন স্টোকস ১৬ এবং জস বাটলার ১০ রান করে অপরাজিত আছেন।
৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই তারা হারায় ওপেনার জেসন রয়ের উইকেট। তিনি মাত্র ২ রান করে প্যাট কামিন্সের শিকার হন। এর পরের বলেই ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকে উইকেটের পেছনে টিম পেইনের শিকার বানান কামিন্স।
দেখে শুনে খেলতে থাকা জো ডেনলিকে ব্যক্তিগত ২৬ রানে ফিরিয়েছেন পিটার সিডল।এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার ররি বার্নসের (২৯) উইকেটও দখল করেছেন তিনি। বাকি সময়টা দেখে শুনে খেলে দিন শেষ করেছেন স্টোকস এবং বাটলার। শেষ দিনে এই দুজনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে ইংলিশরা।

লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনে দলীয় ৭১ রানে চার শীর্ষ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকছিল অজিরা। সেখান থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে টেনে তুলেছেন স্মিথ। খেলেছেন ১৬১ বলে ৯২ রানের দারুণ এক ধৈর্যশীল ইনিংস।
এই ইনিংস খেলার মাঝ পথে ইংলিশ পেসার জফরা আর্চারের ৯২.৪ মাইল গতির বাউন্সারে ঘাড়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্মিথ। অবশ্য ইংলিশ পেসারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে টানা ৭ ইনিংস পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করে রেকর্ড গড়েন তিনি।
রেকর্ড গড়ার পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন স্বদেশী মাইক হাসিকে। ‘মিস্টার ক্রিকেট’ টানা ৬টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন। ২১৮ রানে সপ্তম উইকেট হিসেবে পিটার সিডলকে (৯) হারানোর পর আবার মাঠে নামেন স্মিথ।
ব্যক্তিগত ৯২ রানে ক্রিস ওকসের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন তিনি। ওকসের করা বলটি বুঝতে না পেরে ছেড়ে দিয়েছিলেন স্মিথ। তবে বলটি তাঁর প্যাডে আঘাত হানে। এরপর ইংল্যান্ড রিভিউ নিলে থার্ড আম্পায়ার আউট ঘোষণা দেন।
স্মিথের ফেরার পর আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারলে অজিদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৫০ রানে। স্মিথ অস্ট্রেলিয়াকে লিডের স্বপ্ন দেখালেও ৮ রান দূরেই থামতে হয় সফরকারীদের। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ৩টি উইকেট পেয়েছেন ক্রিস ওকস। ২টি উইকেট গেছে জফরা আর্চারের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসঃ ২৫৮/১০ (৭৭.১ ওভার) (বার্নস-৫৩, বেয়ারস্টো-৫২; কামিন্স-৩/৬১, হ্যাজেলউড-৩/ ৫৮)
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসঃ ২৫০/১০ (৯৪.৩ ওভার) (খাওয়াজা-৩৬, স্মিথ-৯২; ব্রড-৪/৬৫, আর্চার-২/৫৯)
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসঃ ৯৬/৪ (৩২.২ ওভার) (বার্নস ২৯। ডেনলি ২৯; কামিন্স ২/১৬, সিডল ২/১৯)