স্মিথের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দূর্গ জয়

ছবি: ছবিঃ ইসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বার্মিংহামে সর্বশেষ ২০০১ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার স্মিথের অসাধারণ নৈপুণ্যে ১৮ বছর পর এই মাঠে জয়ের দেখা পেয়েছে অজিরা। এই মাঠে এই ১৮ বছরে কোনো ম্যাচেই হারেনি ইংলিশরা। এবার সেই দূর্গ জয় করলো অজিরা।
প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন অজি তারকা স্টিভেন স্মিথ। শেষ দিনে বাকি কাজটা করেছেন অজি বোলাররা।
দুর্দান্ত বোলিং ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস ১৪৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন নাথান লায়ন-প্যাট কামিন্সরা। ফলে বার্মিংহাম টেস্ট ২৫১ রানের ব্যবধানে জিতে নিয়ে অ্যাশেজ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অজিরা।
বার্মিংহাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ৬ এবং ররি বার্নস ৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। পঞ্চম দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বার্নস।
অজি পেসার প্যাট কামিন্সের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ১৩ করে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এই ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইতিহাসের দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে কোনো টেস্টের পাঁচদিনই ব্যাটিং করার কীর্তি গড়েছেন তিনি।

বার্নস ফিরে যাওয়ার পর লায়নের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার জেসন রয়। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান। জো ডেনলি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ২৮ রান করে।
একপ্রান্ত আগলে রাখা ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট ২৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে লায়নের তৃতীয় শিকার হন। পরের চার ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে পৌঁছুতে পারেননি। জস বাটলার (১), বেন স্টোকস (৬), জনি বেয়ারস্টো (৬) এবং মঈন আলী (৪) দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়েছেন।
মঈনকে স্লিপে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ বানিয়ে ক্যারিয়ারের ১৫তম পাঁচ উইকেট তুলে নেন অজি স্পিনার লায়ন। ইনিংসের ৪৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মঈনকে ফেরানোর পরের বলেই স্টুয়ার্ট ব্রডকে স্মিথের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান এই স্পিনার। ৩৭ রান করা ক্রিস ওকসকে স্লো বাউন্সারে ফিরিয়ে অজিদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন প্যাট কামিন্স।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রান করে। জবাবে ইংল্যান্ড ৩৭৪ করে লিড নিলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে অজিরা ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৮৭ রানের বড় স্কোর গড়লে বিশাল টার্গেট পায় ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস)- ২৮৪/১০ (৮০.৪ ওভার) (স্মিথ- ১৪৪, সিডল-৪৪; ব্রড-৫/৮৬, ওকস-৩/৫৮)
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৩৭৪/১০ (১৩৫.৫ ওভার) (বার্নস-১৩৩, রুট-৫৭; কামিন্স-৩/৮৪, লায়ন-৩/১১২)
অস্ট্রেলিয়া (দ্বিতীয় ইনিংস)- ৪৮৭/৭ (১১২ ওভার) (ডিক্লে.) (স্মিথ-১৪২, ওয়েড-১১০; স্টোকস-৩/৮৫, মইন-২/১৩০)
ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৪৬/১০ (৭ ওভার) (রয়-২৮, রুট-২৮, ওকস-৩৭; কামিন্স-৪/৩২, লায়ন-৬/৪৯)