promotional_ad

কী কারণে বিসিবির এই বোধোদয়?

ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| সিনিয়র ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট ||


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল); ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর। জমজমাট যে শুধু ক্রিকেটের কারণে, তা নয়। বিতর্কের জন্ম দিতেও টি-টোয়েন্টি এই আসরের জুড়ি নেই। গত ছয় আসরের ধারাবাহিকতায় এবারও সমালোচনার প্লট তৈরি হয়ে গেছে। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, বিপিএলের সপ্তম আসর শুরু হতে বাকি এখনও চার মাস। এরই মধ্যে বিপিএল নিয়ে হইহুল্লোড় শুরু হয়ে গেছে।


না, এটা উৎসবের হইহুল্লোড় নয়। অনিয়ম, উদাসীনতায় তৈরি হয়েছে ‘অরাজকতা’। যার শিকার কেবল ক্রিকেটাররা। ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নতুন চুক্তি করলেও তাদের বিপিএল ভবিষ্যত ধোঁয়াশার মধ্যেই থেকে যাচ্ছে। এর দায় না নিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, না নিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। গভর্নিং কাউন্সিলের কথায় মনে হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ভুল। আবার ফ্র্যাঞ্চাইজির কথায় তার উল্টোটা।


সপ্তম আসর শুরুর বেশ কয়েক মাস বাকি থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দল গোছাতে শুরু করে দিয়েছিল। প্রতিটা আসর শুরুর আগে এভাবেই দল গোছায় প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজি। তারই ধারাবাহিকতায় দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়াতে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।


নতুন আসরকে সামনে রেখে মুশফিকুর রহিম তার পুরনো ঠিকানা ছেড়ে যোগ দিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। তামিম ইকবাল নাম লিখিয়েছেন খুলনা টাইটান্সে, সাকিব আল হাসান ঢাকা ডায়নামাইটস ছেড়ে গেছেন রংপুর রাইডার্সে। কিন্তু এসব চুক্তির কোনোটাই এখন আর বৈধ নয়, সবগুলোই বাতিল করা হয়েছে। হঠাৎ-ই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সব কার্যক্রম থামিয়ে দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।



promotional_ad

কারণ, ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলোর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন চুক্তি না করে কোনো কার্যক্রমই চালাতে পারবে না তারা। নতুন সাইকেলে (চার বছরের চুক্তি) চুক্তি হওয়ার পরই কেবল দল গোছানো যাবে। অর্থাৎ, বিসিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।


ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এটা পুরনো খবরই। তবে এটা হঠাৎ করেই প্রধান খবরে পরিণত হয়েছে। সম্ভবত সাকিব আল হাসান রংপুর রাইডার্সে নাম লেখানোর পরই বিসিবির টনক নড়ে উঠেছে। না হলে ফ্র্যাঞ্চাইজির চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অন্য ক্রিকেটারদের করা নতুন চুক্তি নিয়ে কেন কথা বলেনি সংশ্লিষ্টরা? এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই অবান্তর নয়।


চিটাগং ভাইকিংস ছেড়ে মুশফিকের কুমিল্লায় যাওয়া কিংবা তামিমের খুলনায় যাওয়ার খবরও বিসিবি পর্যন্ত পৌঁছেছে। বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোর ব্যাপারগুলোও চাপা থাকেনি। কিন্তু তখন এসব নিয়ে আলোচনা হয়নি। ঢাকা ছেড়ে সাকিব রংপুরে যোগ দেয়ার পরই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চুক্তি নবায়নের ইস্যুটা হয়ে গেছে বিপিএল আয়োজনের প্রধান কার্যক্রম। আদতে বিষয়টি তেমনই, চুক্তির ব্যাপারটা সবার আগেই আসে। কিন্তু এমন বিসিবির এমন তড়িঘড়ি অনেক প্রশ্নেরই জন্ম দিচ্ছে।


রবিবার সকালে হঠাৎ করেই জানিয়ে দেয়া হয়, বিকাল সাড়ে চারটায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সংবাদ সম্মেলন। আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল, হয়েছেও তেমনই। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মুখপাত্র হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনাম জানালেন, চুক্তি নবায়ন করার আগেই রংপুর কাকে দলে ভেড়ালো, সেটা বিসিবির ভাবার বিষয় নয়। বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না বিসিবি। কারণ, এটি বৈধ প্রক্রিয়া নয়।


এ বিষয়ে মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘বিসিবির সঙ্গে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির চুক্তি হয়নি। তারা (রংপুর রাইডার্স) যা করেছে, সেটার সঙ্গে বিসিবি বা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা স্বীকার করারও দরকার নেই, আমাদের আলোচনা করারও দরকার নেই বিসিবির পক্ষ থেকে। আপনার সঙ্গে যদি চুক্তি না থাকে এবং তার নিয়মগুলো যদি নির্ধারিত না থাকে, আপনি যা কিছুই করেন সেটার গ্রহণযোগ্যতার কিন্তু কোনো অবস্থান নেই।’



বিসিবি বা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন এসেই যায়, চুক্তির আগে যে কোনো ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ানো যাবে না, সেটা কি জানতো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো? কিংবা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে? জানা গেছে এমন কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যে কারণে প্রায় প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই দল গোছানোর কাজ হাত দিয়েছিল।


সাকিব, তামিম, মুশফিকদের নতুন চুক্তি বাতিল হয়ে গেলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের বেলায় অন্য কথা বলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে চুক্তি নবায়ন না থাকলেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে না। বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়ানো যাচ্ছে। এটাকে ‘অন্য ব্যাপার’ বলে জানিয়েছেন মাহবুব আনাম।


এমন হলে আরো প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হয়ে যারা খেলবেন, সবার পরিচয়ই ক্রিকেটার। চুক্তি নবায়নের আগে কাউকেই দলে নেয়ার সুযোগ থাকার কথা নয়। তাহলে দেশি ক্রিকেটারদের বেলায় এক নিয়ম আর বিদেশি ক্রিকেটাদের বেলায় অন্য নিয়ম হয় কীভাবে! তবে কি নির্দিষ্ট একজন ক্রিকেটারের দল বদলানোর কারণেই এতো নিয়ম বদলে ফেলা! আর এ কারণেই বিসিবির এই বোধোদয়?



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball