সচেতন হোক ক্রিকেটার-কোচিং স্টাফ, চাওয়া সাকিবের

ছবি: ছবিঃ বিসিবি, রতন গোমেজ

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
টানা ক্রিকেটের ক্লান্তি যে কোনো ক্রিকেটারের পারফর্মেন্সে প্রভাব ফেলে। শারীরিক অবসাদ দূর করতে ক্রিকেটারদের বিশ্রামের প্রয়োজন। কিন্তু সেই সময়টা কখন সেটা জানতে হবে ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের সকলকে। এই দুইয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয় ভালো একটি দল। বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এমনটাই মনে করেন।
ত্রিদেশীয় সিরিজ, বিশ্বকাপ এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজ; টানা খেলার মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটের ক্লান্তি ইতোমধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের পারফর্মেন্সে। ম্যাচের ফলেও যার প্রভাব পড়েছে। ক্রিকেটারদের বিশ্রামের ব্যাপারে ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফ উভয়কেই আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

‘দেখুন এটা দুজনেরই বোঝার দায়িত্ব। যখন একজন খেলোয়াড় বলছে যে, আমার মনে হয় আমার বিরতি নেওয়া উচিত। কিংবা কোচিং স্টাফ থেকে বলছে তোমার এই বিরতিটা নেওয়া উচিত। এটা যেমন খেলোয়াড়দের বোঝা উচিত, তেমনি কোচিং স্টাফদেরও বোঝা উচিত। কোচিং স্টাফ, বোর্ড ও খেলোয়াড়দের মধ্যে খুব ভাল একটা সমন্বয় থাকতে হবে। তা না হলে এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা তৈরি কিংবা নেতিবাচক কথা তৈরি হতে পারে যদি তথ্যগুলো ঠিকভাবে না যায়।’ বলেছেন সাকিব।
ভারতীয় দলের ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফরা জানেন কখন কাকে বিশ্রাম দিতে হবে। আর এই পদ্ধতিতেই নিজেদের শক্তিশালী দলে পরিণত করেছে ভারত, মনে করছেন সাকিব।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছুটিতে থাকা সাকিব বলেন, ‘আমি ভারতের একটা ভালো উদাহরণ দিতে পারি। গত বছরে ওদের ইতিহাসে খেলোয়াড়দের কম ইনজুরি হয়েছে। এর একটা বড় কারণ ওরা খেলোয়াড় পরিবর্তন করে খেলেছে। এটাতে যেটা হয়েছে, ওদের অনেক খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে। অনেক খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছে নিজেদের মেলে ধরার।’
‘একই সঙ্গে ওদের খেলোয়াড়রা যখন যে এসেছে, তখন ফ্রেশ অবস্থায় খেলতে পেরেছে ও পারফর্ম করতে পেরেছে। আপনি যদি দেখেন, বিরাট কোহলিসহ সবাইকে কিন্তু বিশ্রাম দিয়েছে। কোনো না কোনো ফরম্যাটে, কোনো না কোনো সিরিজে সবাই বিশ্রাম পেয়েছে। এই জিনিসগুলো আমাদের বুঝে কাজ করতে হবে।’