ভারতকে পেলেই জ্বলে ওঠেন মুস্তাফিজ

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রিয় প্রতিপক্ষ ভারতকে সামনে পেলেই জ্বলে ওঠেন মুস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার আবারও সেটা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। তিনি ৫৯ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংস থামিয়ে দিয়েছেন ৩১৪ রানে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয়বারের মতো ভারতের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটের দেখা পেয়েছেন মুস্তাফিজ। এর আগে ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকেই ৫০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। দ্বিতীয় ম্যাচেও বল হাতে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন তিনি।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৩ রান খরচায় এই পেসার নেন ৬ উইকেট। গত বছর এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ৩৮ রানে ২ উইকেট পান তিনি। এবার বিশ্বকাপে প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে জ্বলে উঠেছেন তিনি।

ভারতের মিডল অর্ডারে ধ্বস নামিয়েছেন তিনি একাই। নিজের সপ্তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ। ব্যক্তিগত ২৬ রানে তাঁর প্রথম শিকার হন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
একই ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই হার্দিক পান্ডিয়াকে ফেরান এই পেসার। ৮ রান করা দীনেশ কার্তিককে ফিরিয়ে ভারতের মিডল অর্ডার গুড়িয়ে দেন তিনি। শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ৩৭ রানে এবং ইনিংসের শেষ বলে মোহাম্মদ শামিকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট দখল করেন মুস্তাফিজ।
২০১৭ সালে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজই সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন। ১১ ম্যাচে সে বছর ১৪ উইকেট নেন তিনি। সেই বছর তাঁর ইকোনোমি রেট ছিল ৫.৪৮। ২০১৮ সালেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন এই বাঁহাতি পেসার।
১৮ ম্যাচে সেই বছর তাঁর শিকার ছিল ২৯ উইকেট। ইকোনোমি রেটটাও কমিয়ে এনেছিলেন তিনি ৪.২০এ। চলতি বিশ্বকাপেও মুস্তাফিজ বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার। ৮ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১৫ উইকেট। বিশ্বকাপে তাঁর সেরা বোলিং পরিসংখ্যান প্রিয় প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিতেই।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে মুস্তাফিজ জানান স্লোয়ার এবং কাটার ছাড়া তাঁর বোলিংয়ে খুব বেশি বৈচিত্র নেই। বিশ্বকাপে এগুলো নিয়েই সেরাটা দিতে চান তিনি। মুস্তাফিজের পারফর্মেন্সেই বোঝা যাচ্ছে কতটা সফল তিনি।
'স্লোয়ার এবং কাটার ছাড়া আমার খুব বেশি কিছু নেই। আমার জন্য এগুলো (স্লোয়ার এবং কাটার) খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করছি এগুলো নিয়ে সফল হবো। কিন্তু আমি নতুন কিছু বৈচিত্র আনতে চাই। ইংল্যান্ডের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক এবং আমি সেখানে নিজের সেরাটা দিতে চাই।'