এবার পরিবারকে না জানিয়ে অবসর নয়ঃ মাশরাফি

ছবি: ছবিঃ রতন গোমেজ

|| সিনিয়র ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৭ সালের এপ্রিলের কথা। কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। টস করতে গেলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিছুক্ষণেই টস ছাপিয়ে আলোচনায় কেবল মাশরাফি। ততোক্ষণে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটকে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি। সবাই ঘোরের মধ্যে তখন। টিভি স্ক্রল ভুল দেখাচ্ছে না তো? না, টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিয়েছেন মাশরাফি।
টেস্টকে বিদায় না বললেও সাদা পোশাকের ফরম্যাটটা দূরের স্মৃতি হয়ে আছে ওয়ানডে অধিনায়কের কাছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে টেস্ট খেলেছেন তিনি। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার এই ফরম্যাটে আদৌ ফেরা হবে কিনা, খোদ মাশরাফিও জানেন না। খেলে যাচ্ছেন কেবল ওয়ানডে ফরম্যাট। কিন্তু এই ফরম্যাটে থেকেও তাঁর অবসর নেয়া নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই অবসর প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনতে হয়েছে মাশরাফিকে। সে সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছিলেন, আপাতত বিশ্বকাপেই নজর। এরপর অবসর নিয়ে ভাববেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের মাঝে মাশরাফি জানিয়েছেন, এখনই অবসর নিচ্ছেন না।
সময় বুঝে অবসর নেবেন, তবে সেটা ঘোষণা দিয়ে নয়। টি-টোয়েন্টির মতো হঠাৎ করে ওয়ানডেকে বিদায় বলে দিতে পারেন বলে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানিয়েছেন মাশরাফি। যদিও এবার একক সিদ্ধান্তে অবসর নিতে চান না তিনি। কারণ ওয়ানডেকে বিদায় বলা মানে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেয়া। তাই এবার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২১৩ ওয়ানডে খেলা মাশরাফি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেছেন, ‘আমি টি-টোয়েন্টি ছেড়েছি পরিবারের সঙ্গে কথা না বলেই। এখন আমি পুরো ক্রিকেট ছাড়বো। আমার পরিবার তো ডিজার্ব করে তাদের সঙ্গে যেন আলাপ করি। পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে তারপর আমি জানাবো। তবে এখনও সময় আসেনি। টুর্নামেন্ট চলছে, আমি কেন এর মাঝে এটা নিয়ে কথা বলবো।’
এবারের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে পরিবারই সবচেয়ে প্রাধান্য পাবে জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এখন একটাই কথা, আমি খেলে যাচ্ছি, যখন ছাড়ার ছেড়ে দেবো। আর আমার সিদ্ধান্ত হুট-হাট করে হয়। আমার মনেহয় এটাও হুট করেই নেবো। তবে পরিবারের কনসার্ন সবার আগে। আমার যা কিছু ফেস করেছে পরিবারই করেছে। অবশ্যই আমার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে তারপর সিদ্ধান্ত।’