অবসরের সিদ্ধান্ত একটুও বদলায়নিঃ মাশরাফি

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| সিনিয়র ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট ||
মাথায় একটাই সমীকরণ; কীভাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টিকেট কাটা যায়। সেরা চার দলের একটি হওয়ার চিন্তায় মগ্ন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। আপাতত ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার রণকৌশল সাজাতেই ব্যস্ত তারা। কিন্তু এর মাঝে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর ইস্যু।
বিশ্বকাপের মাঝে ওয়ানডে থেকে অবসর নেয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জানিয়েছেন, এখনই অবসর নিচ্ছেন না। অর্থাৎ, আরও কিছুদিন বাংলাদেশের হয়ে খেলে যেতে চান তিনি। যদিও বিশ্বকাপের আগে অবসর ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বলেছিলেন; তাঁর ভাবনায় আপাতত বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ শেষে এটা নিয়ে ভাববেন তিনি।
বিশ্বকাপের মাঝে অবসর নিয়ে মাশরাফি খানিকটা ভিন্নভাবে কথা বলেছেন। আপাতত যে অবসর নিচ্ছেন না, সেটা তাঁর কথায় স্পষ্ট। বলেছেন, ‘অবশ্যই এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ। তবে টুর্নামেন্ট শেষে অবসর নিচ্ছি না। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে ভাবতেও চাই না। টুর্নামেন্ট এখনও চলছে, এটা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমন সময় মানুষ আবেগি হয়ে পড়ে। তবে বোর্ড যদি চায়, তাহলে এটা নিয়ে আমাকে ভাবতে হবে।’

ওয়ানডে ফরম্যাটকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা বিশ্বকাপের পর জানানোর কথা ছিল মাশরাফির। তবে কি এটা আগে জানানোতেই এতো আলোচনা? মাশরাফি অবশ্য সেটার কোনো হদিস পাচ্ছেন না।
ক্রিকফ্রেঞ্জিকে ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি এখনও বলছি পরে জানাবো। আমি তো আমার অবসরের ব্যাপারে কিছু জানাইনি। আমি বলেছি টুর্নামেন্ট শেষ করে ভাববো। অবসর নেব কি নেব না সেটা তো পরের সিদ্ধান্ত। আমি বলেছি, আমার অবসরের ব্যাপারে কিছুই বদলায়নি। অবসরের ঘোষণা যেহেতু দেইনি, তার মানে খেলে যাচ্ছি।’
মাশরাফি না ভাবলেও তাঁর অবসর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ পথে তাঁর বিশ্বকাপের পারফরর্মেন্সকে সামনে আনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত একটিমাত্র উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। সর্বশেষ দুই বছর বল হাতে বাংলাদেশের অন্যতম সফল বোলার থাকলেও চলতি বছরে সেই ধারায় থাকতে পারেননি তিনি।
অবসরের আলোচনা এ কারণেই কি চাওড় হয়েছে? মাশরাফি বলেন, ‘আমি জানি না আমার অবসর নিয়ে কোথায় কথা হয়। কোন জায়গা থেকে এসব কথা আসে এসব ব্যাপারে জানি না। আমি এসব খেলার মধ্যে টানি না। এ নিয়ে কথা বলার ইচ্ছাও আমার ছিল না। প্রশ্ন করা হলে তখন উত্তর দিতে হয়। তবে এটা ঠিক, টুর্নামেন্টের ভেতর কোনো সিদ্ধান্ত নয়।’
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় হঠাৎ করেই টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দেন মাশরাফি। ওয়ানডে থেকেও একইভাবে বিদায় নেয়া হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও যেটা বলেছি, যদি পারি খেলব না হলে খেলব না। আমার যখনই মনে হবে খেলবো না, তখনই জানিয়ে দেব। তবে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি মানে আমি খেলবো। আমি আগেও বলেছি, যখন সিদ্ধান্ত নেব সেটা হুট করেই। আর বোর্ড যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা বোর্ডের মতো করে নিতে পারে।’
হুট করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেও এবার সেটা পরিবারের সঙ্গে আলাপ ছাড়া নয়। কারণ টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর আর ওয়ানডে থেকে অবসর নেয়ার ব্যাপারটি এক মনে করছেন না ৮৩টি ওয়ানডে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া এই অধিনায়ক, ‘আমি অবসর নিলে সেটা আগে বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তারপর জানাবো।’
খেলার ইচ্ছা থাকলে খেলে যাবেন, না হলে ছেড়ে দেবেন। এমন জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘খেলার ইচ্ছা আছে, খেলে যাচ্ছি। দুই ম্যাচ খেলব না পাঁচ ম্যাচ খেলব সেটা জানি না। এমনও হতে পারে শ্রীলঙ্কা গিয়েও আমি অবসর নিতে পারি, সেটা কথার কথা। শ্রীলঙ্কার আমার মনে হয়েছে, তাই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছি। এখানে ঘোষণা দেয়ার কোনো কারণ দেখছি না।’