আফগান স্পিন বনাম বাংলাদেশের ব্যাটিং পাওয়ারহাউজ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বিশ্বকাপের অন্যতম শক্তিশালী স্পিন বোলিং আক্রমণের দল আফগানিস্তান। বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানের সঙ্গে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি এবং তরুন স্পিনার মুজিবুর রহমান দলটির বোলিং বিভাগকে গড়ে তুলেছেন অনেক বেশি শক্তিশালী। বিশ্ব ক্রিকেটের যে কোনো দলই আফগান স্পিনারে ভীত হতে বাধ্য। আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব তাই নিজ দলের স্পিন বোলিং আক্রমণের ওপর আস্থাশীল।
এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে আছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। যদিও ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার এখন অবধি ব্যক্তিগত বড় স্কোর গড়তে পারেননি। তবে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন এই দুইজন। এরপর তিনে নামা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান তো রয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা ফর্মে।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা রান সংগ্রাহক তিনি। দুইটি সেঞ্চুরি এবং দুটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর নামের পাশে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের ব্যাটও হাসতে শুরু করেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও শেষের দিকে দ্রুত রান তোলার কাজটি ভালোভাবে পালন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে বেশ ভাবতে হচ্ছে আফগানদের। বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর পাশাপাশি ৩০০ ছাড়ানো সংগ্রহ তাড়া করার সামর্থ্যও আছে বাংলাদেশ দলের, ইতোমধ্যে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ হারলেও স্কোরবোর্ডে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩৩ রানের পুঁজি তুলেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে তামিম-সাকিবরা।
নাইব বিশ্বাস রাখছেন তাঁর বোলারদের ওপর। উইকেটের সাহায্য পেলে শুধু বাংলাদেশ নয়, শক্তিশালী যে কোনো দলকে থামিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে আফগানিস্তান। 'আমি জানি বাংলাদেশেরও সামর্থ্য আছে। তাঁরা এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে।
তাঁরা কেমন খেলে সেটা সবাই জানে। তাঁরা ৩৫০, ৩৪০ তাড়া করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আমি মনে করি তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের বিশ্বসেরা স্পিন বোলিং আক্রমণ আছে। উইকেট যখন আমাদের সঙ্গে মানানসই হয়, এটা অনেক কঠিন প্রতিপক্ষের জন্য। শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়। সবার জন্যই।
'আমি এর আগেও বলেছি, বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে দারুণ শুরু করেছে। যেকোনো দলের বিপক্ষে আমাদের খেলা দেখুন, গতকাল ভারতের মতো বিশ্বের সেরা ব্যাটিং আক্রমণের বিপক্ষেও আমরা ভালো করেছি। যদি উইকেট আমাদের স্পিনারদের সাহায্য করে তবে এটা যেকোনো দলের জন্য কঠিন। শুধু বাংলাদেশের জন্য না।'
ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষেও ভালো খেলতে প্রস্তুত। আজকের (২৪ জুন) দিনটি নিজেদের যেন হয় সেটাই প্রত্যাশা করছেন নাইব।
'ইনশাআল্লাহ্ জানি এটা নতুন দিন এবং এটা নির্ভর করে নির্দিষ্ট দিনের পারফর্মেন্সের ওপর। তাই আমরা সঠিক জিনিসটি ভালো ভাবে করার চেষ্টা করবো। গত দুই ম্যাচের আমরা ভালো কিছু করেছি। আগামী কালও করতে পারবো বলে আশাবাদী।'