২০১৫ আর না ফিরুক, তামিমের চাওয়া

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকতে চাইছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে যথাক্রমে ১৬, ২৪ এবং ১৯ রান করেছে তামিম। বড় স্কোর গড়তে না পারার কারণে এরই মধ্যে তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেকেই মেতে উঠেছে তামিমের মুন্ডুপাত করতে।
আর এই বিষয়টি সম্পর্কে বেশ ভালোই ওয়াকিবহাল টাইগার ওপেনার। কারণ ২০১৫ বিশ্বকাপ আসরেও একই ধরণের তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তামিম। সেবার ৬ ম্যাচে ২৫.৬৬ গড়ে মাত্র ১৫৪ রান করেছিলেন তিনি। সেই বিবর্ণ পারফর্মেন্সের কারণে কম ভুগতে হয়নি টাইগার ওপেনারকে। প্রতিনিয়তই সইতে হয়েছে গঞ্ছনা এবং তিরস্কার।
তামিমের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তাঁকে মাঠে নামতে দেখলে গ্যালারি থেকে দুয়োও দেয়া হতো। শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবারকে নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করতে ছাড়েনি মানুষ। এবারও তাই একই পরিণতির কথা ভেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকছেন তামিম,

'এবার খুব চেষ্টা করছি ওসব থেকে দূরে থাকতে। আমি এমনিতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করি না। আর আমার পরিবারও যদি জানে, আমি নিশ্চিত কেউই আমাকে বলবে না। তবে আশা করি ওই রকম কিছু এখনো হচ্ছে না,' বলছিলেন এই ওপেনার।
২০১৫ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি আজও টাটকা তামিমের মানসপটে। সেই দুঃসহ দিনগুলোর কথা ভেবে আজও শিউরে ওঠেন তিনি। মানুষের কটূক্তি এবং সমালোচনার যে ঝড় তিনি দেখেছেন তা যেন দ্বিতীয়বার দেখতে না হয় তাই কায়মনে প্রার্থনা করেন তামিম। তিনি বলছিলেন,
'সব মানুষ তো আর এক রকম না। কেউ এসব সহ্য করতে পারে, কেউ পারে না। আমার মনে একটা ভয় কাজ করে। সেটা আপনারা কেউ বুঝতে পারবেন না। গত বিশ্বকাপে যা যা হয়েছে, তার প্রভাব আমি, আমার স্ত্রী এবং আমার পরিবারের ওপর কতটা পড়েছে, সেটা দেশের ১৬ কোটি মানুষের কেউই বুঝতে পারবে না।
আমি চাই না সেসব দিন ফিরে আসুক। আর আমিও চাই না ওই সব দিনে ফিরে যেতে। এ আশা নিয়েই ইংল্যান্ডে এসেছিলাম যে এবার উল্টোটা দেখব। আগে খারাপটা দেখেছি, এবার ভালোটা দেখব। তবে আশা কিন্তু ছাড়িনি, এখনো সময় আছে।'
উল্লেখ্য এই তামিমই নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছিলেন গত বিশ্বকাপের পর। সকল লাঞ্চনা পেছনে ফেলে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। ২০১৫ সালের এপ্রিলের আগে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে যার গড় ৩১.০২ ছিল সেই ব্যাটসম্যানই দুই বছরের মাথায় ৪৫.৮৭ তে নিয়ে গিয়েছিলেন ব্যাটিং গড়।
শুধু তাই নয়, ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে তামিমের সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিল ১০টি। আর এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সেঞ্চুরি ২১টি।