'সুপার ম্যান' পারফর্মেন্স চান না ডু প্লেসিস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা দিয়েই চোকার তকমা ঘোচাতে চান দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস, অতিমানবীয় পারফর্মেন্স দিয়ে নয়। তাঁর বিশ্বাস, পূর্বের বিশ্বকাপ আসরগুলোতে অতিমাত্রায় চাপ নিয়ে ফেলার দরুন সেরা খেলা উপহার দিতে ব্যর্থ হয়েছিল প্রোটিয়ারা। যার ফলস্বরূপ টুর্নামেন্ট থেকে অকালে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
এবারের বিশ্বকাপে অপ্রয়োজনীয় চাপ মাথায় নিতে নারাজ ডু প্লেসিস। বরঞ্চ উপভোগ্যের মন্ত্রকেই সাফল্যের পাথেয় হিসেবে দেখতে চান তিনি। চাপকে দূরে সরিয়ে রেখে সতীর্থদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে প্রোটিয়া দলপতি বলেছেন,

'পূর্বের বিশ্বকাপগুলোতে আমরা সুপার ম্যানের মতো কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের বিশেষ কিছু করতে হবে, আমরা সাধারণত যা করি তার থেকেও বেশি কিছু করতে হবে এবং আমরা এর আগে তেমন ভালো কিছু করতে পারিনি।
আমরা পূর্বে সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারিনি, আমাদের সেরা খেলাটি খেলতে পারিনি বিশ্বকাপে কারণ আমরা নিজেদের ওপর অনেক বেশি চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। আমরা শুধু ক্রিকেট খেলাটি উপভোগ করার দিকে গুরুত্ব দিতে চাই।'
বিশ্বকাপে মানসিক শক্তির ব্যাপারেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ডু প্লেসিস। ২০১৫ এর বিশ্বকাপে খেলা এই ক্রিকেটার বিশ্বকাপের ???ঞ্চে চাপের ব্যাপারে ভালোই অবগত আছেন। নিজের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এই ব্যাপারটির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। তাঁর ভাষ্যমতে,
'আমরা এক বা দুই বছর আগে থেকে আমাদের মানসিক প্রস্তুতির দিকে জোর দিচ্ছি এবং একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি সম্ভবত আগের অধিনায়কদের থেকে এই বিষয়ে বেশি কথা বলি। তবে আমি আসলেই দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এই জায়গাটিতে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমি সেখানে ছিলাম এবং আমি জানি কতটা চাপ কাজ করে। আমি জানি কিভাবে সেই চাপ মোকাবেলা করতে হবে।'
উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত আইসিসি আয়োজিত কোনও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা সাফল্য সেমিফাইনালে খেলা। ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপ আসরে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। আর ১৯৯৬ এবং ২০১১ বিশ্বকাপে তাদের দৌড় ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২০০০, ২০০২, ২০০৪, ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে সেমিফাইনালে খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।