মুশফিক-মিঠুনের কাঁধে বাংলাদেশ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
উইন্ডিজঃ ২৪৭/৯ (৫০ ওভার)
(হোপ ৮৭, হোল্ডার ৬২; মাশরাফি ৩/৬০, মুস্তাফিজ ৪/৪৩)
বাংলাদেশঃ- ১৫৪/৩ (৩১ ওভার)
(মিঠুন ২২*, রহিম ২৫*)
ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে রান সংগ্রহ করেছে উইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
মুশফিক-মিঠুনের কাঁধে বাংলাদেশঃ-
নার্সের একই ওভারে দুই উইকেট যাওয়ার পর আচমকা ম্যাচ ঘুরতে পারত উইন্ডিজের দিকে (তিন উইকেটে ১০৭ রান)। কিন্তু এমন সম্ভাবনাকে পাত্তাই দেননি টাইগারদের দুই ডিপেন্ডেবল ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুন।
দুজনেই বেশ দেখেশুনে ইনিংস মেরামতের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন।
সৌম্যের বিদায়ঃ-
সাকিব ফেরার এক বল পরেই বিদায় নিয়েছেন সৌম্য। ৬৭ বলে ৫৪ করা সৌম্যের ক্যাচ লুফে নিয়েছেন অ্যামব্রিস।

সাকিবের বিদায়ঃ-
সৌম্যের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। নার্সের স্পিন ফাঁদে ধরা দিয়েছেন তিনিও। ফেরার আগে ৩৫ বলে ২৯ রান করেন সাকিব।
দায়িত্বশীল সৌম্যের ফিফটিঃ-
তামিম ফিরলেও দেখেশুনে নিজের ফিফটি পূরণ করে নিয়েছেন সৌম্য।
নার্সের স্পিন ফাঁদে তামিমঃ-
রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটি ভালো হয়েছে টাইগারদের। তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার জুটি এদিনে তুলেছে ৫৪ রান। ব্যক্তিগত ২১ রানে অ্যাশলে নার্সের স্পিন ফাঁদে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তামিম।
প্রথম ইনিংসে বিবরণঃ-
এই ম্যাচের শুরুতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উইন্ডিজ দলপতি জ্যাসন হোল্ডার।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার শেই হোপ ও সুনীল অ্যামব্রিস। এই দুজনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় উইন্ডিজ।
দুজনে যোগ করেন ৩৭ রান। ২৩ রান করা অ্যামব্রিস মাশরাফির বলে স্লিপে সৌম্যর দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়েছেন। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন শেই হোপ।
মাশরাফির করা দশম ওভারের চতুর্থ বলে শর্টে ড্যারেন ব্রাভোর সহজ ক্যাচ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর বোলিংয়ে এসে সেই ব্রাভোকে ব্যক্তিগত ৬ রানে লেগ বিফোরের শিকার বানিয়ে আউট করেছেন মিরাজ।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রস্টন চেজ। তিনি ১৯ রান করে শর্টে মাহমুদুল্লাহকে ক্যাচ দিয়েছেন সাকিবের বলে। পঞ্চম উইকেটে জেসন হোল্ডারকে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়েন হোপ।
৮৭ রান করা হোপকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভাঙেছেন মাশরাফি। এরপর দ্রুত আরও বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে উইন্ডিজ। হোপকে ফেরানোর পর ৬২ রান করা হোল্ডারকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন মাশরাফি।
৭ রান করা ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে লেগ বিফোরের শিকার বানিয়ে আউট করেছেন সাকিব। ১৪ রান করে নার্স সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মুস্তাফিজের বলে। একই ওভারে রেমন রেইফারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আউট করেছেন মুস্তাফিজ।
শেষ দিকে কটরেল ৭ ও রোচ ২ রানে অপরাজিত থাকলেও দলের সংগ্রহ বড় করতে পারেননি।
বাংলাদেশ একাদশঃ তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ রাহি, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুস্তাফিজুর রহমান।
উইন্ডিজ একাদশঃ জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), ড্যারেন ব্রাভো, শেই হোপ, শেল্ডন কর্টরেল, কেমার রোচ, সুনীল অ্যামব্রিস, রেইমন্ড রেইফার, ফাবিয়ান অ্যালেন, অ্যাশলে নার্স, রস্টন চেজ এবং জোনাথন কার্টার।