ভেট্টরিকে ছাড়ানোর অপেক্ষায় মাশরাফি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে উইন্ডিজের বিপক্ষে সোমবার আবারো মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর এই ম্যাচের আগে দারুণ একটি রেকর্ডের সামনে অবস্থান করছেন টাইগার কাপ্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ক্যারিবিয়ানদের এই ম্যাচে পরাজিত করতে পারলে জয়ের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে ছাড়িয়ে যাবেন নড়াইল এক্সপ্রেস। অবসর নেয়ার আগে মোট ৮২টি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভেট্টরি। তাঁর অধীনে কিউইরা জয় পেয়েছিল ৪১টি ম্যাচে এবং পরাজিত হয়েছিল ৩৩ ম্যাচে। ফলে তাঁর জয়ের পরিমাণ ৫৫.৩৩ শতাংশ।
অপরদিকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৭৪টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। যেখানে তিনি সর্বমোট জয় পেয়েছেন ভেট্টরির সমান ৪১টি ম্যাচে। তাঁর পরাজয়ের সংখ্যা ৩১টিতে। তাঁর জয়ের পরিমাণ বর্তমানে ৫৬.৯৪ শতাংশ।

এদিকে সোমবার জয় পেলে ভারতের রাহুল দ্রাবিড়ের পাশেও উঠে আসবেন মাশরাফি। ২০০০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে ৭৯টি ওয়ানডেতে ৪২টি জয় পেয়েছিল ভারত। আর পরাজিত হয়েছিল ৩৩টিতে। তাঁর জয়ের পরিমাণ ৫৬.০০ শতাংশ।
ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচে জয়ের রেকর্ডটি অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের। ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তাঁর অধীনে ২৩০টি ওয়ানডে খেলেছিল অজিরা এবং জয় পেয়েছিল মোট ১৬৫ ম্যাচে। যেখানে পরাজয়ের সংখ্যাটি ছিল ৫১। পন্টিংয়ের জয়ের পরিমাণ ৭৬.১৪ শতাংশ।
এরপর তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থতে আছেন যথাক্রমে নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং, ভারতের মহেন্দ্রা সিং ধোনি ও শ্রীলঙ্কার অর্জুনা রানাতুঙ্গা। ফ্লেমিংয়ের অধীনে ২১৮ ম্যাচে ৯৮টি জয় পেয়েছিল কিউইরা এবং পরাজিত হয়েছিল ১০৬টিতে। ফলে ৪৮.০৮ শতাংশ ম্যাচে জয় পেয়েছিল কিউইরা।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ধোনি অবশ্য বেশ সফল অধিনায়কত্বের দিক থেকে। ভারতকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২০০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি এবং জয় এনে দিয়েছেন ১১০টিতে। ৫৯.৫২ শতাংশ জয় পাওয়া এই অধিনায়কের পরাজিত ম্যাচের সংখ্যা ৭৪টি।
লঙ্কানদের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রানাতুঙ্গা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। তাঁর অধীনে ১৯৩টি ওয়ানডে খেলেছিল লঙ্কানরা এবং জয় পেয়েছিল ৮৯টিতে। ৯৫ ম্যাচে পরাজয় বরণ করে নেয়া রানাতুঙ্গার জয়ের পরিমাণ ৪৮.৩৭।